Advertisment

জেলবন্দি কূলভূষণের হাতে বিশেষ অধিকার! ভারতের চাপে পাক সংসদে বিল পাস

Kulbhusan Yadav: পাক সামরিক আদালতে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত কূলভূষণ। তাঁর ফাঁসির সাজা হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Kulbhusan Yadav, ICJ, Isalamabad

২০১৯ সালে ফাঁসির আদেশে স্থগিতাদেশ পড়ে।

Kulbhusan Yadav: ভারতের কূটনৈতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার পাকিস্তানের। পড়শি দেশের জেলেবন্দি কূলভূষণ যাদবকে অধিকার পাইয়ে দিতে সংসদে বিল পাস করল ইমরান খান সরকার। পাক সামরিক আদালতে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত কূলভূষণ। তাঁর ফাঁসির সাজা হয়েছে। যদিও নয়াদিল্লির তরফে এই বিচার প্রক্রিয়া এবং কূলভূষণের গ্রেফতারিকে বারবার কটাক্ষ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত এই সাজার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। কূলভূষণকে কূটনৈতিক সহযোগিতার সুযোগ না দিয়ে ভিয়েনা চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পড়শি দেশ। বারবার এই অভিযোগ বিশ্বমঞ্চে করেছে মোদি সরকার।

Advertisment

এবার নয়াদিল্লির এই দরবারে যারপরনাই বিব্রত ইমরান খান সরকার। তাই মুখ বাঁচাতে বুধবার আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত, ২০২০ বিল পাশ করেন সে দেশের আইন মন্ত্রী। পাক সংসদের দুই কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে এই বিল। ফলে পাক সরকারের বিল এবার আইনে পরিণত হলে, কূলভূষণ তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া সাজা পুনর্বিবেচনা এবং পর্যালোচনার আবেদন করতে পারবেন। অর্থাৎ সাজা পুনর্বিবেচনার অধিকার তুলে দেওয়া হবে এই ভারতীয় নাগরিককে। পাক সংবাদপত্র দা ডন সূত্রে এমনটাই খবর।

জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ভারত। ভিয়েনা চুক্তি লঙ্ঘন করে ভারতীয় নাগরিক কূলভূষণকে কূটনৈতিক সহযোগিতা দিচ্ছে না পাকিস্তান। সেই মামলা দায়েরের পরেই তড়িঘড়ি পাক সংসদে বিল পাশ করে আইন প্রণয়ন করতে চলেছে ইমরান খান সরকার।

এদিকে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত সন্ত্রাস নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে ফের পাকিস্তানকে তুলোধনা করল ভারত। মঙ্গলবার নয়াদিল্লির প্রতিনিধি সাফ জানিয়েছেন, ইসলামাবাদের উচিত সন্ত্রাস এবং হিংসামুক্ত পরিবেশ তৈরি করে তারপর আলোচনার টেবিলে বসা।

রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি কাজল ভাট নিরাপত্তা পরিষদে জানিয়েছেন, ভারত পাকিস্তান-সহ সমস্ত প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুতবপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখতে চায়। এবং সিমলা চুক্তি এবং লাহোর চুক্তি মেনে দ্বিপাক্ষিক শান্তিপূর্ণ ভাবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

কিন্তু তাঁর দাবি, গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা তখনই চলতে পারে যখন সন্ত্রাস, হিংসামুক্ত এবং প্ররোচনামুক্ত পরিবেশ থাকবে। এবার পাকিস্তানের সদিচ্ছার উপর নির্ভর করছে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করা। ততক্ষণ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সীমান্ত-সন্ত্রাস নিয়ে বলিষ্ঠ এবং দৃঢ় পদক্ষেপ করতে পিছপা হবে না ভারত।

রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসলামাবাদের তরফে কাশ্মীর ইস্যুতে সওয়াল উঠতেই পাকিস্তানকে তুলোধনা করেছে ভারত। ভাট বলেছেন, “পাকিস্তানের প্রতিনিধির তরফে কিছু অস্তিত্বহীন কথার প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিতে বাধ্য হচ্ছি। পাকিস্তানের প্রতিনিধির তরফে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে মিথ্যা অপপ্রচারের চেষ্টা এটাই প্রথমবার নয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমার দেশের বিরুদ্ধে এই কুৎসা-অপপ্রচারের উদ্দেশ্য হল নিজের দেশের সন্ত্রাসের মুক্তাঞ্চল থেকে বিশ্বের নজর ঘোরানো। ওই দেশে সন্ত্রাসীরা মুক্তভাবে ঘোরাফেরা করে, সাধারণ মানুষের জীবন বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে।”

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Vienna Convention Espionage Case Pak Court India Kulbhusan Yadav ICJ
Advertisment