Advertisment

Bangladesh Pakistan Friendship Challenge For India: পাকিস্তানের সঙ্গে মাখোমাখো সম্পর্ক! বাংলাদেশের পদক্ষেপে কতটা অস্বস্তিতে ভারত?

Bangladesh Pakistan Friendship Challenge For India: বাংলাদেশে পাকিস্তান থেকে সরাসরি কার্গো জাহাজের আসা ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিকেই চিহ্নিত করে।

author-image
Sayan Sarkar
New Update
Karachi Chattogram Deal

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক গভীর হচ্ছে

Bangladesh Pakistan Friendship Challenge For India: শেখ হাসিনার বিদায়ের পর থেকে বাংলাদেশে এমন অনেক ঘটনা ঘটছে, যেগুলি ভারতের কাছে ভাল ঠেকছে না।  মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চাইছে। গত সপ্তাহে পাকিস্তান থেকে একটি কার্গো জাহাজ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। এটি ছিল বিগত ৪ দশকের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে প্রথম সামুদ্রিক যোগাযোগ। করাচি থেকে জাহাজটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাতেই পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি সমুদ্র বাণিজ্যের এক ঐতিহাসিক পটভূমির সূচনা করে।  

Advertisment

পাকিস্তান হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ বলেন যে সরাসরি 'শিপিং রুট' সমগ্র অঞ্চলে বাণিজ্য প্রচারের জন্য একটি বড় পদক্ষেপ। এই উদ্যোগ বর্তমান বাণিজ্য প্রবাহকে আরও ত্বরান্বিত করবে এবং ছোট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বড় রপ্তানিকারকদের ব্যবসায়  নতুন সুযোগ আনবে। ঢাকায় মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তানি পণ্যের আমদানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পর সরাসরি পাকিস্তান থেকে পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে আসে এই কার্গো জাহাজ। বন্দর কর্মকর্তারা রবিবার সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে যে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে তা মেরামত করার চেষ্টা করছে৷ পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি সামুদ্রিক সংযোগের উপর নজর রাখছে নয়াদিল্লিও। 

বাংলাদেশে পাকিস্তান থেকে সরাসরি কার্গো জাহাজের আসা ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিকেই চিহ্নিত করে। শেখ হাসিনার শাসনকালে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের এক নতুন দিকের সূচনা হয়। এখন হাসিনা ক্ষমতা থেকে সরে এসে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করে বিকল্প পথ খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে। সরাসরি শিপিং রুট ছাড়াও দুই দেশের একে অপরের কাছাকাছি আসার আরও একাধিক ঘটনা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। ১১ সেপ্টেম্বর, ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে উর্দু কবিতার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মহচম্মদ আলী জিন্নাহর ৭৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা জিন্নাহর প্রশংসা করেছিলেন, এমনকি একজন বলেছিলেন যে জিন্নাহ আমাদের জাতির পিতা এবং পাকিস্তান না থাকলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকত না।

পুতিনের হুঁশিয়ারি! কিয়েভে দূতাবাস বন্ধের সিদ্ধান্ত বাইডেনের

শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং ইউনুস এই বছরের সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়েও আলোচনা করেছিলেন। ইউনূস সম্প্রতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কের একটি "নতুন অধ্যায়ের" আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, "আমাদের সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সামুদ্রিক সংযোগ অপরিহার্য।" বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দগুলো বাদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল মহাম্মদ আসাদুজ্জামান। এই প্রস্তাবের ফলে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি একটি ইসলামী রাষ্ট্রের দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের কাছে হস্তান্তরের দাবিও করছে বাংলাদেশ। ঢাকা ইতিমধ্যে ৭৭ বছর বয়সী হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে এবং "গণহত্যা, হত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ" এর অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ার জন্য তাকে ঢাকার একটি আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছে। শেখ হাসিনার কথা উল্লেখ করে ইউনূস বলেন, আমরা ভারতের কাছে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী প্রত্যর্পণের দাবি জানাব। ইসলামাবাদ এবং ঢাকার মধ্যে সম্পর্ক ভারতের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠতে পারে। নয়াদিল্লির জন্য আরেকটি নিরাপত্তা উদ্বেগ হল ভারতকে অস্থিতিশীল করার কার্যকলাপে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-বাংলাদেশকে কাজে লাগাতে পারে । রাষ্ট্রসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে বিক্ষোভের ফলে সংখ্যালঘু হিন্দুসহ ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যা নিয়েও সুর চড়িয়েছে ভারত। 

India pakistan Bangladesh
Advertisment