Advertisment

'বালাকোটের জঙ্গি ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ দিতেন পাক সেনার প্রাক্তন আধিকারিকেরা'

জইশ ছাড়াও একাধিক পাক জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ শিবির হিসেবে ব্যবহৃত হত এই ঘাঁটি। শিক্ষানবিশদের প্রয়োজনীয় সব প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো পরিকাঠামো ছিল এখানে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
pulwama attack

I

মঙ্গলবার সার্জিকাল স্ট্রাইক করে পাকিস্তানের বালাকোটের জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ-এর ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া অঞ্চলের কুনহার নদির তীরে এই ঘাঁটি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে পাওয়া খবর বলছে আরেক জঙ্গি ঘাঁটি হিজবুল মুজাহিদিনও প্রায়শই এই ঘাঁটি ব্যবহার করত।

Advertisment

জলপথে সন্ত্রাস চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত বালাকোটের এই শিবিরে। জইশ ছাড়াও একাধিক পাক জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ শিবির হিসেবে ব্যবহৃত হত এই ঘাঁটি। শিক্ষানবিশদের প্রয়োজনীয় সব প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো পরিকাঠামো ছিল এখানে।

বালাকোট শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে জইশ-এর ঘাঁটিতে রণ কৌশল শেখানো হত। প্রশিক্ষণ দিতেন পাক সেনাবাহিনীর অভিজ্ঞ প্রাক্তন আধিকারিকেরা। জইশ-ই-মহম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহার সহ সন্ত্রাসের আদর্শে বিশ্বাসী, এমন অনেকেই সেখানে ভাষণ দিতেন।

আরও পড়ুন, সাংবাদিকদের জেরার মুখে দুই পাক মন্ত্রী

আজহারের আত্মীয় এবং শিষ্যদের এখানে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র এবং রণকৌশল সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হত।

বালাকোটের শিবিরে বিশেষ 'দৌড়া-ই-খাস'-এর প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। এটা আসলে অস্ত্র, বিস্ফোরক, এবং রণকৌশল সংক্রান্ত কৌশল। কী ভাবে কনভয়ের ওপর কী ভাবে হামলা করতে হয়, কীভাবে আইইডি বানাতে হয়, আত্মঘাতী বোমা কীভাবে তৈরি করতে হয় এবং পার্বত্য অঞ্চলে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় কী ভাবে সুস্থ থাকতে হয়, তার সম্ভাব্য সব উপায় সম্পর্কে শেখানো হত এখানে।

আত্মঘাতী হামলার প্রশিক্ষণ দেওয়ায় বিশেষ দক্ষতা ছিল জইশ-ই-মহম্মদের। সন্ত্রাসের বিকল্প নেই, এটা বোঝাতে মগজ ধোলাই হত প্রশিক্ষণ নিতে আসা ছেলেদের।

Read the full story in English

Surgical Strike Pulwama Attack
Advertisment