নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করল ভারতীয় বায়ুসেনা। মঙ্গলবার ভোরে ভারতীয় বায়ুসেনার ১২টি ‘মিরাজ ২০০০’ বিমান জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে এমনই খবর। ভারতীয় বায়ুসেনার সূত্র মারফৎ এএনআই জানিয়েছে, এদিন ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ ভারতীয় বায়ুসেনার মিরাজ ২০০০ বিমান নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে এই অভিযান চালায়। হাজার কেজি বোমা নিক্ষেপ করে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এএনআই সূত্রে আরও খবর, জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসের পর নিয়ন্ত্রণ রেখায় হাই অ্যালার্ট বা উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে গোটা ঘটনার বিবরণ দেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এদিন জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। রেডিও পাকিস্তানের খবর অনুযায়ী, জরুরি বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি।
উল্লেখ্য, নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকেছে ভারতীয় যুদ্ধ বিমান, এমন দাবিই করেন পাক সেনার মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গাফুর। পাক সেনার মুখপাত্রের দাবি, মুজফ্ফরাবাদ থেকে ভারতীয় যুদ্ধ বিমান নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে "অবৈধভাবে প্রবেশ করে" পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আকাশে। ভারতীয় বিমানটি থেকে বালাকোটের কাছে বিস্ফোরক নিক্ষেপ করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন গাফুর। টুইট করে পাক সেনার মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন "সঠিক সময়ে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে পাক বায়ুসেনাও। কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয় নি।" পাক সেনার প্রত্যুত্তরের পরই ভারতীয় বিমানটি ফিরে যায় বলেও দাবি করা হয়।
পাক আকাশে ভারতীয় বায়ুসেনার হানার কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। এদিন টুইট করে এ খবর নিশ্চিত করেছেন শেখাওয়াত।
এদিন টুইটারে পাক সেনার মুখপাত্র জানান, "নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ততক্ষণাৎ এর জবাব দিয়েছে পাকিস্তান। এরপরই ভারতীয় বিমানটি ফিরে গিয়েছে।" এর আগে টুইট করে গাফুর লেখেন, "মুজফ্ফরাবাদ সেক্টরে ঢুকে পড়ে ভারতীয় যুদ্ধ বিমান। জবাবি আক্রমণে ফিরে যায় সেই বিমান।"
টুইটারে ভারতীয় বায়ুসেনাকে ‘স্যালুট’ জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলটদের স্যালুট জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। ভারতীয় বায়ুসেনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী গাড়িবোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এর ফলে ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হন। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে জইশ-ই-মহম্মদ। হামলার পর একটি ভিডিও বার্তায় জইশের তরফে দাবি করা হয়, আদিল আহমেদ দার নামে এক জইশ জঙ্গি এই হামলা চালায়।
Read the full story in English