প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রপতি পারভেজ মুশারফের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিল সেদেশের আদালত। রাষ্ট্রে প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা মামলার প্রেক্ষিতে মুশারফকে এই সাজা শুনিয়েছে পেশওয়ারের বিশেষ আদালত।
আপাতত চিকিৎসার জন্য দুবাইতে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ছিলেন পারভেজ মুশারফ। ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন মুশারফ। সেই সময়কালেই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সহ বেশ কয়েকজন বিচারপতিকে আটক করা হয়েছিল। সেই সময় মুশারফের দাবি ছিল, নিজের পথ থেকে সরে গিয়ে বিচারবিভাগ, সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা নির্মূলে প্রশাসন ও আইন বিভাগের মিলিতভাবে যে উদ্দেশ্য তা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে ভারত কী কী শাস্তি দিতে পারে?
প্রায় ৪২দিন পাকিস্তানে সেই সময় জরুরি অবস্থা জারি ছিল। রাষ্ট্রপতির বরখাস্তের দাবিতে বিরোধী শিবির সোচ্চার হয়। নাওয়াজ শরিফ মামলা করেন মুশারফের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে পদত্যাগ করেন মুশারফ। ২০০৯ সালে পাক সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় দেশে জরুরি আবস্থা জারি ছিল অসাংবিধানিক। কেন রাষ্ট্রপতি হিসাবে জরুরি অবস্থা জারির পদক্ষেপ করেছিলেন পারভেজ মুশারফ? আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য সুপ্রিম কোর্ট মুশারফকে তলব করলে দেশ ছাড়েন তিনি। ২০১৩ সালে পাক সর্বোচ্চ আদালত মুশারফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে সম্মতি দেয়।
২০১৪ থেকে পাক আদালতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়। আদালত তাঁকে বারঁবার ডেকে পাঠানো সত্ত্বেও তিনি উপস্থিত হননি বলে অভিযোগ। এরই মধ্যে প্রায় পাঁচ বছর পর পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ব্রিটেন থেকে দেশে ফিরেছিলেন মুশারফ। আদালতে জানান তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁর নির্দোষ বলে ঘোষণা করা করুক আদালত।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির বিশেষ আবেদনের ভিত্তিতে আদালত তাঁকে চিকিৎসার জন্য কয়েক সপ্তাহ দুবাই যাওয়ার অনুমতি দেয়। তারপর থেকে আর দেশে ফেরেননি মুশারফ। আদালত পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে পলাতক বলে ঘোষণা করে।
Read the full story in English