Advertisment

কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত হোক, রাষ্ট্রসংঘে দাবি পাকিস্তানের

৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই কাশ্মীর ইস্যুতে বিরোধিতা জানিয়ে সুর চড়িয়ে আসছে পাকিস্তান। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা জানিয়ে আগেই আন্তর্জাতিক মহলে সোচ্চার হয়েছে পাকিস্তান।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
jammu kashmir, জম্মু কাশ্মীর

৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই কাশ্মীর ইস্যুতে বিরোধিতা জানিয়ে সুর চড়িয়ে আসছে পাকিস্তান। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

কাশ্মীর ইস্যুতে আবারও রাষ্ট্রসংঘে সোচ্চার হল পাকিস্তান। জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পর্ষদের সভায় কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানাল ইমরান খান সরকার। এদিন জেনেভায় ৪২তম রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সভায় কাশ্মীর পরিস্থিতি প্রসঙ্গে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, কাশ্মীরিদের সুবিচারের জন্য রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের দরজায় কড়া নাড়ছি আজ। একইসঙ্গে কুরেশি বলেন, অবিলম্বে যাতে কার্ফু প্রত্যাহার করে, যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরায় চালু করে, রাজনৈতিক নেতাদের মুক্ত করে মানুষের মৌলিক অধিকার যাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, সেজন্য ভারতকে আবেদন করুক রাষ্ট্রসংঘ।

Advertisment

src="https://www.youtube.com/embed/hkb4nocIsa4" width="100%" height="415" frameborder="0" allowfullscreen="allowfullscreen">

আরও পড়ুন: কাশ্মীর ভারতেরই, চিন-পাক দাবি উড়িয়ে দাবি নয়াদিল্লির

উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই কাশ্মীর ইস্যুতে বিরোধিতা জানিয়ে সুর চড়িয়ে আসছে পাকিস্তান। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা জানিয়ে আগেই আন্তর্জাতিক মহলে সোচ্চার হয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু ভারত বরাবরই তা প্রতিহত করে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, এটা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পর্ষদের সভাতেও যে কাশ্মীর প্রসঙ্গে গলা হাঁকাতে পারে পাকিস্তান, তার আন্দাজ আগেই করেছিল ভারত। সেইমতো প্রস্তুতিও নিয়েছে নয়া দিল্লি।

প্রসঙ্গত, কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের হাই কমিশনার মিশেল ব্যাশেলেট বলেছেন, ‘‘ভারত সরকারের পদক্ষেপে আমরা কাশ্মীরিদের মানবাধিকার নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ইন্টারনেট পরিষেবায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের আটক করে রাখা হয়েছে’’। তিনি বলেন, কাশ্মীরে এই অচলাবস্থা কাটাতে বিশেষত ভারতের কাছে আর্জি রাখছি, যাতে বাসিন্দাদের মানবাধিকার যেন সুরক্ষিত থাকে। যাঁদের আটক করে রাখা হয়েছে, তাঁদের অধিকার ফেরানোর কথাও বলেছেন তিনি। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের হাই কমিশনারের মুখে একথা শুনে এ ইস্যুতে পাকিস্তান যে বাড়তি অক্সিজেন পাবে, তেমনটাই মনে করেছিল কূটনৈতিক মহলের একাংশ। শেষ পর্যন্ত এ নিয়ে আবারও সোচ্চার হল ইমরান খান সরকার।

Read the full story in English

Advertisment