ভারতীয় রাষ্ট্রপতির বিমানকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল পাকিস্তান। সেদেশের সরকারি টিভিকে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানায় পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশি। এই নিষেধাজ্ঞা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নির্দেশ বলে জানিয়েছেন তিনি।
আগামী সোমবার ৯ দিনের সফরে আইসল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও স্লোভানিয়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। পুলওয়ামা সহ সন্ত্রাসবাদের প্রেক্ষিতে ভারতের কাছে উদ্বেগের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই সফরে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ আলোচনা করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। এরপরই পাকিস্তান তাদের আকাশপথ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
পুলওয়ামা ও তারপর এয়ারস্ট্রাইক ঘিরে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে। যা তরান্বিত হয় জম্মু-কাশ্মীরে কেন্দ্রের ৩৭০ ধারা রদকে কেন্দ্র করে। পাকিস্তান আগেই হুমকি দিয়েছিল তাদের আকাশ পথ ব্যবহারে ভারতীয় বিমানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। আশান্তির আবহেই ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশষনারকেও দিল্লিতে ফেরত পাঠায় ইমরান প্রশাসন।
আরও পড়ুন: নিখোঁজ বিক্রম, ‘হতাশ’ ইসরোর পাশে গোটা দেশ
জম্মু-কাশ্মীরে বিশেষ ধারা প্রত্যাহারকে হাতিয়ার করে পাকিস্তান বিশ্বে ভারতকে কোণঠাসা করতে মরিয়া। দিল্লির পদক্ষেপে কাশ্মীরিদের মানবাধিকার খর্ব হচ্ছে বলে সরব ইমরান খানেরা। রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপের দাবি জানায় তারা। তবে, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সেই বৈঠকে কাশ্মীরকে ভারত পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেই ঘোষণা করা হয়। যা কার্যত নয়াদিল্লির দাবিকেই মান্যতা দেওয়া বলে জানায় মোদী সরকার।
গত মাসে G-7 সম্মেলনেও ভারত জানিয়ে দেয় এই ইস্যুতে নয়াদিল্লি কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ নেমে নেবে না। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, '১৯৪৭ সালের আগে ভারত পাকিস্তান এক ছিল। তাই কোনও সমস্যা আমরা দ্বিপাক্ষিকভাবে মেটাতেও সক্ষম।'
এই প্রথম নয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রবেশ করে ভারতীয় বায়ু সেনা সেদেশের বেড়ে ওঠা জৈশ মহম্মদের জঙ্গি ঘাঁটিগুলির উপর আঘাত আনে। তারপরই ভারতীয় বিমান তাদের আকাশ পথ দিয়ে যাতায়াতে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর প্রায় মাস পাঁচেক পর সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে ইসলামাবাদ। তবে, এদিনের ঘোষণার পর তা আবার নতুন মাত্রা পেল।
Read the full story in English