Indo-Pak Relation: পাকিস্তান ব্যবহার করতে দেয়নি আকাশ পথ। তাই শ্রীনগর থেকে শারজাগামী বিমানকে প্রায় ৪০ ঘণ্টা বেশি আকাশে উড়তে হয়েছে। চাপ পড়েছে ইঞ্জিনে এবং খরচা হয়েছে জ্বালানি। সম্প্রতি পড়শি দেশের এই আচরণ নিয়ে শুরু হয়েছে হইচই। তবে সরকারিস্তরে এখনও কোনও বিবৃতি আসেনি। কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি গো ফার্স্ট (পূর্বতন গো এয়ার) বিমান সংস্থার তরফেও। তবে বেশি ঘুরে শারজা পৌছনোয় ওই বিমান সংস্থার পরিষেবা প্রভাবিত হয়েছে। এমনটাই সুত্রের খবর।
শ্রীনগর-শারজা, গো ফার্স্ট বিমান সংস্থার এই যাত্রার সম্প্রতি সূচনা করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। স্বল্প খরচে, স্বল্প সময়ে কাশ্মীর থেকে মধ্য এশিয়ার কোনও দেশে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব। এই ভাবনা থেকে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক গো ফার্স্টের সঙ্গে এই রুটে যাত্রী বিমান চলাচলের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু সেই উড়ানের সূচনায় পড়শি দেশের অসহযোগিতায় বড়সড় ধাক্কা খেল এই উদ্যোগ।
তবে পাকিস্তানের এই আচরণকে দুর্ভাগ্যজনক বলে তোপ দাগেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। উলটে ভারত সরকারের পরিকল্পনার অভাবকে কাঠগড়ায় তুলেছেন ওপর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। এদিকে উড়ান বিশেষজ্ঞদের দাবি, ঘোষিত রুট দিয়ে সেই বিমান শ্রীনগর থেকে শারজা পৌঁছলে কমবেশি ৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিট লাগার কথা। শ্রীনগর-করাচই-ইরান হয়ে শারজা পৌছনোর কথা। কিন্তু পড়শি দেশ আকাশ পথ ব্যবহার করতে না দেওয়ায় সেই বিমানকে রাজস্থান, গুজরাত, ওমান হয়ে শারজা ঢুকতে হয়েছে। ফলে অনেকবেশি সময় আকাশ পথে থাকতে হয়েছে সেই বিমানকে। প্রায় ৪০ মিনিট বেশি যাত্রা করে ৪ ঘণ্টা ২০ মিনিট বাদে শারজা বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিমান।
তবে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারত থেকে পশ্চিম এশিয়া এবং পূর্ব ইউরোপগামী বাকি বিমানকে আকাশ পথ ছেড়েছে পাকিস্তান।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন