Advertisment

বালাকোটেরর পর পাঞ্জাব সীমান্তে পাক বায়ুসেনার অতি সক্রিয়তা

সীমান্তের যে অংশে ভারতীয় সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি করা হয়েছে সেখানেই এই ড্রোনের নজরদারি বাড়িয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পরই পাঞ্জাবের ভারত-পাক সীমান্ত এলাকায় ড্রোনের ব্যবহার বা়ড়িয়েছে পাকিস্তান। বেশ কয়েকবার পাক ড্রোনের দেখাও মিলেছে। সীমান্তের যে অংশে ভারতীয় সেনা বেশি করে মোতায়েন করা হয়েছে সেখানেই এই ড্রোনের নজরদারি বাড়িয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি। কয়েকস সপ্তাহ আগেই সেনাপ্রধান বিপীন রাওয়াত সতর্ক করে বলেছিলেন বালাকোটে ফের সক্রিয় হচ্ছে জঙ্গি তৎপরতা, অনুপ্রবেশের জন্য তৈরি জঙ্গি শিবির। পাঠানকোট ফাজিলকা পর্যন্ত পাক ড্রোন সক্রিয়তার কথা জানতে পারে ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেস।

Advertisment

সূত্রের খবর, পাকিস্তানি ড্রোন রাতের বেলা নজরদারি চালায়। এক সেনা আধিকারিকের কথায়, রাতের বেলা পাক ড্রোন মেরে নামানো সম্ভব নয়। কিন্তু, সেটি যাতে হামলা না চালাতে পারে, তাই আমাদের নজর থাকে। ভারতীয় বায়ু সেনা ছাঁউনি যেখানে সেই অঞ্চলেই পাক ড্রোনের সক্রিয়তা দেখা যায়। কিন্তু, ওদের ড্রোনের, ক্ষমতা কম। তাই নিরাপত্তা বাহিনী, গোয়েন্দা শাখা বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছে।

আরও পড়ুন: বাংলায় হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের বেছে বেছে তাড়াব: শাহ

পাঞ্জাব পুলিশের দাবি, সেদেশ থেকে এদেশে চোরাই পথে বন্দুক পৌঁছে দিতেই ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। তাদের কথা অনুযায়ী, পাক ড্রোন ১০ কেজি ভার বহনে সক্ষম। ড্রোনের মাধ্যমে সেপ্টেম্বরেই প্রায় সাত-আটবার বন্দুক, বিস্ফোরক ও জাল নোট ভারতে ঢোকানো হয়। পুলিশের দাবি মতো, এর মধ্যেই ৫ একে ৪৭ বন্দুক, ১৬ ম্যাগাজিন, ৩০ পিস্তল, ৭২ রাউন্ড গুলি ৯ হ্যান্ড গ্রেনেড ৫ সাটেলাইট ফোন, ২ মোবাইল ফোন, ২ ওয়ারলেস সেট সহ নগদ ১০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয় পাঞ্জাব সীমান্ত থেকে। আগস্টেই উদ্ধার করা হয় একটি ক্ষতিগ্রস্থ ড্রোন। পাঞ্জাব পুলিশ আগেই দাবি করেছিল এই ড্রোন সক্রিয়তার পিছনে রয়েছে খালিস্থানী জঙ্গিদের মদত।

পাকিস্তানের এই আচরণের পরই সীমান্ত রাজ্য় পাঞ্জাবে নজরদারি জোরদার করেছে পুলিশ। বিষয়টি বিএসএফকেও জানানো হয়েছে। প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তার দাবি, জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাত গুলি বিনিময় নিত্য় নৈমিত্তিক ঘটনা। ককিন্তু, পাঞ্জাবে তা নয়। এক্ষেত্রে পুলিশকে কোনও পদক্ষেপ করতে হলে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি নিতে হয়। কারণ সীমান্ত সরক্ষার দায়িত্বে থাকে সেনাবাহিনী। তবে, জানা গিয়ে এই ধরণের ড্রোনের সক্রিয়তা মোকাবিলায় পদক্ষেপ করতে চলেছে পাঞ্জাব সরকার। অমরিন্দর সিং সরকার বিষয়টি কেন্দ্রকে জানিয়েছে বলে সূত্রের খবর।

Read the full story in English

Punjab pakistan India
Advertisment