এয়ার স্ট্রাইকের পর ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছিল পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। সেদিনের হামলার সময় ২টি এআইএম-১২০ অ্যাডভান্সড মিডিয়াম-রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল(এএমআরএএএম) নিক্ষেপ করেছিল এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। যার মধ্যে একটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। আরেকটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান মিগ-২১ বাইসনে আঘাত হানে। যে যুদ্ধবিমানের ককপিটে অভিনন্দন বর্তমান ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। এমন তথ্যই মিলেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের হাতে।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, গত বুধবার হামলার সময় একটি এএমআরএএএম মিসাইল লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতের দিকে পড়ে। যার ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করেছে ভারতীয় সেনা। অন্য মিসাইলটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান মিগ-২১ বাইসনে আঘাত হানে। ওই যুদ্ধবিমানে ছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। এফ-১৬ থেকে ছোড়া মিসাইলের হানায় ওই মিগ-২১ বিমান নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকিস্তানের দিকে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন, এয়ার স্ট্রাইক: ‘‘বিকট শব্দ শুনেছিলাম, পাক সেনা আমাদের উদ্ধার করে’’
পাক হানার পর ভারতে যে ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়েছে, তা পরীক্ষানিরিক্ষা করে আমেরিকার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এটা মিসাইলেরই অংশ, যা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, পাক অস্ত্রাগারে অন্যতম প্রধান হাতিয়ার এই এএমআরএএএম মিসাইল। যা বানায় আমেরিকার রেথিয়ন নামের একটি সংস্থা। শুধুমাত্র এফ-১৬ যুদ্ধবিমান থেকেই এই মিসাইল নিক্ষেপ করা যায়। দৃশ্যমানতার বাইরে গিয়েও প্রতিপক্ষের যুদ্ধবিমানকে টার্গেট করতে পারে এই মিসাইল। শুধু তাই নয়, দিন হোক বা রাত, যে কোনও সময়ই কেরামতি দেখাতে পারে এই মিসাইল। এমনকি, সবরকমের আবহাওয়াতেও সাবলীল ভাবে কাজ চালাতে পারে এই মিসাইল। যদিও পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা এফ-১৬ বিমান ব্যবহার করেনি।
গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে মিসাইলের ধবংসাবশেষ দেখিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। বুধবার বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, এফ-১৬ থেকে ছোড়া আরেকটি মিসাইলকে ধ্বংস করেছে মিগ-২১ বিমান। উল্লেখ্য, অভিনন্দনের বিমান নামানো হয়েছিল পাকিস্তানে। পরে তাঁকে হেফাজতে নেয় পাক সেনা। গত শুক্রবার পাকিস্তান থেকে ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে দেশে ফেরেন ওই উইং কমান্ডার।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের জুন মাসে ৫০০ এআইএম-১২০সি-৫ এএমআরএএএম মিসাইল অর্ডার দিয়েছিল পাকিস্তান। ২০১০ সালের জুলাই মাসে প্রথম ধাপে এএমআরএএএম মিসাইল পেয়েছিল পাকিস্তান।
Read the full story in English