বন্যাবিধ্বস্ত পাকিস্তান। এই দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ভারতের পড়শি দেশ। হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। না খেতে পেয়ে চরম দুর্দশায় বন্যাদুর্গতরা। প্রথম বার এই নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার মোদী টুইট করে পড়শি দেশের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। লেখেন, এই বিপর্যয় দেখে তিনি ব্যথিত। আশা করবেন, দ্রুত সবকিছু ফের স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে, উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানকে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য সাহায্য়ের হাত বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সাউথ ব্লকের শীর্ষ আধিকারিকরা বৈঠকের টেবিলে এই নিয়ে আবার আলোচনা করবেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবার ভারত পাকিস্তানকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সাহায্য করতে চলেছে।
এর আগে ২০১০ সালে ভয়াবহ বন্যা এবং ২০০৫ সালে ভূমিকম্পের কারণে ক্ষয়ক্ষতি থেকে পাকিস্তানকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ইউপিএ সরকার।
আরও পড়ুন তিরঙ্গা হাতেই নিলেন না! অমিত-পুত্র বলেই কি জয়কে ছাড়? প্রশ্ন বিরোধীদের
মোদী সোমবার টুইটে লেখেন, "পাকিস্তানে বন্যার কারণে ক্ষয়ক্ষতি দেখে ব্যথিত। আমরা আমাদের সমবেদনা জানাই বন্যাদুর্গতদের পরিজনদের। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, স্বজন হারিয়েছেন তাঁদেরও। আশা করব, দ্রুত ফের সবকিছু স্বাভাবিক হবে।"
সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় ১,১০০ জনের প্রাণ গিয়েছে। নয়া প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের কার্যত দেউলিয়া সরকার সাহায্যের জন্য আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আবেদন করেছেন। দেশের ৩ কোটিরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। যা দেশের মোট জনসংখ্যার এক-সপ্তাংশ। এর আগে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল জানান, প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে সবজি, ভোজ্যদ্রব্য আমদানি করা যেতে পারে। কারণ বন্যায় দেশের বহু জায়গায় ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এবার ভারত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চলেছে।