জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে বিশ্ব দরবারে কার্যত একঘরে পাকিস্তান। এ ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে দরবার করেও খুব একটা আশার আলো দেখল না পাকিস্তান। জম্মু-কাশ্মীর ইস্যু দ্বিপাক্ষিক বিষয়। তাই এ ব্যাপারে রফাসূত্রের জন্য দিল্লি ও ইসলামাবাদকেই হস্তক্ষেপ করতে হবে। কার্যত এ ভাষাতেই ইমরান খান সরকারকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। উল্লেখ্য, বর্তমানে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্সি দেশ হিসেবে রয়েছে পোল্যান্ড। ৩৭০ ধারা ইস্যুতে পাক আবেদনের ভিত্তিতে এমন বার্তাই দিয়েছে পোল্যান্ড। প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার এ ইস্যুতে মুখ খুলল পোল্যান্ড।
আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি রাষ্ট্রসংঘের সিদ্ধান্ত বিরোধী: পাকিস্তান
src="https://www.youtube.com/embed/MQwyF4FWSu0" width="100%" height="415" frameborder="0" allowfullscreen="allowfullscreen">
সোমবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ভারতে নিযুক্ত পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত জানান, ‘‘পোল্যান্ড আশা রাখে যে, দু’দেশ পারষ্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে এ সমস্যার সমাধান করবে। একমাত্র শান্তির পথ অনুসরণ করেই এ সমস্যার সমাধান হতে পারে’’। এর আগে পোল্যান্ডের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের। ৩৭০ ধারা বাতিলের পর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের এ ব্যাপারে অবগত করে নয়া দিল্লি।
আরও পড়ুন: সমঝোতা এক্সপ্রেস বন্ধ করল পাকিস্তান, বন্ধ ভারতের হিন্দি সিনেমাও
প্রসঙ্গত, ৩৭০ ধারা বাতিলের বিরোধিতা জানিয়ে প্রথম থেকেই সরব হয়েছে পাকিস্তান। কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা জানিয়ে রাষ্ট্রসংঘে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ইসলামাবাদ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাতে পাকিস্তানের কোনও লাভ হল না বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, “রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভারত সরকার এককভাবে এই মর্যাদা বদল করতে পারে না। জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ এবং পাকিস্তান এ সিদ্ধান্ত কোনও দিন মেনে নেবে না। এই আন্তর্জাতিক বিতর্কিত বিষয়ের অংশীদার হওয়ায় পাকিস্তান বেআইনি এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সমস্তরকম ব্যবস্থা নেবে’’। এদিকে, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই ভারত-পাক সম্পর্কের ক্রমশ অবনিত ঘটছে। সমঝোতা এক্সপ্রেস, দিল্লি-লাহৌর বাস পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে।
Read the full story in English