কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে ফের ধাক্কা খেয়েছে পাকিস্তান। ভারতের বিরুদ্ধে ওঠা কোনও অভিযোগই সেখানে বিশ্বাসযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়নি। কিন্তু, নাছোড় পাকিস্তান। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গণভোট করানোর কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেখানকার অধিবাসীরা পাকিস্তানের সঙ্গে থাকতে চান, নাকি স্বাধীনতা চান? তা স্পষ্ট করতেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরিদের গণভোটের অধিকার দিতে উদ্যোগী ইসলামাবাদ।
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, 'কাশ্মীরিরা পাকিস্তানে থাকতে চান, নাকি স্বাধীনতা চাইছেন। তা স্পষ্ট করতে ইসলামাবাদ কাশ্মীরিদের গণভোটের অধিকার দিতে প্রস্তুত। এই বিষয়টি কাশ্মীরিরাই সিদ্ধান্ত নিক। আমরা সবসময় এই বিষয়টির পক্ষে রয়েছি।' ডয়চে ওয়েলের প্রধান সম্পাদককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্যই করেছেন ইমরান। এর আগেও অবশ্য এই দাবিতে সরব হয়েছিল ইসলামাবাদ।
আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীর সংক্রান্ত অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই, মত রাষ্ট্রসংঘের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে
নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারের কাশ্মীরিদের মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ করে নয়া দিল্লি। সেই অভিযোগ খণ্ডন করে ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, 'বিশ্বের যেকোনও প্রান্তের যে কেউ পাকিস্তানের কাশ্মীরে গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পারেন। ভারতের কাশ্মীরে তাদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। যারা যাবেন তারাই পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন।' কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘে পাল্টা মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ তুলছে ইমরানের দেশ। সেই দাবি গাঢ় করতেই পাক প্রধানমন্ত্রীর মুখে ফের কাশ্মীরে গণভোটের প্রসঙ্গ বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতকে নিশানা করে সন্ত্রাসবাদীদের ক্রমাগত মদত দিয়ে চলেছে পাকিস্তান। কিন্তু, ভারতের সাফ কথা, সন্ত্রাসে মদত বন্ধ না করলে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না নয়া দিল্লি। মোদী সরকারের এই অনড় অবস্থান নিয়ে ভারতকে নিশানা করেছেন ইমরান। তাঁর দাবি, সীমান্ত সমস্যা মেটাতে ভারতের সঙ্গে আলোচনার জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালানো সত্ত্বেও তা সফল হয়নি। আরএসএস মতাদর্শের কারণেই তা সম্ভব হয়নি।' ভারতের কাশ্মীরে কি হচ্ছে তা নিয়ে তিনিই প্রথম বিশ্বকে সতর্ক করেছিলেন বলে জানান পাক প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আমন্ত্রণের সিদ্ধান্ত ভারতের
মোদী সরকারকে বিঁধে ইমরান বলেন, 'ভারত জাতিগত চরমপন্থীদের দ্বারা পরিচালিত। এরা হল হিন্দুত্ববাদী। আরএসএস ১৯২৫ সালে তৈরি হয়েছে। এই সংগঠন তৈরির পিছনে অনুপ্রেরনা জার্মানির ন্যাতসি বাহিনী। আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতারা ন্যাৎসির মতো জাতিগত আধিপত্যবাদে বিশ্বাসী। জার্মীনির ন্যাতসি যেমন সংখ্যালঘুদের ঘৃণা করত, তেমন আরএসএসয়ের মতাদর্শ মুসলমান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের আক্রমণ করা।'
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই ইমরান ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেন। এরপরই তাঁর সংযোজন, 'ক্রমশ বুঝতে পেরেছি আরএসএসের মতাদর্শের কারণেই সেই আলোচনা সম্ভব নয়। যার প্রমাণ মেলে আগামী ৫ই আগস্টের ঘটনায়।'
Read the full story in English