বিশাল তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের অধিকারী হতে চলেছে পাকিস্তান। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। আরবসাগরে এ ভান্ডারের খোঁজ পেলে ভারতের প্রতিবেশী দেশের অর্থনৈতিক সংকট অনেকটাই কাটতে চলেছে। বৃহস্পতিবার ইমরান খান বলেন, "আমি সকলের কাছে অনুরোধ করছি তাঁরা যেন প্রার্থনা করেন পাকিস্তান যাতে যথেষ্ট পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদের অধিকারী হয়। এক্সনমোবিলের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়াম সমুদ্রতীরে যে খনন প্রক্রিয়া চালাচ্ছে, তা ঘিরে আমাদের প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।"
তিনি বলেন, সমুদ্রতীরে তেলের জন্য খনন প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং বড়সড় খোঁজ মেলার সম্ভাবনা রয়েছে। ইমরান বলেছেন, "বিষয়টি প্রায় তিন সপ্তাহ পিছিয়ে গেছে, তবে যা ইঙ্গিত সংস্থার তরফ থেকে মিলেছে, তাতে আমাদের জলভাগে বড়সড় ভাণ্ডার মেলার সম্ভাবনা রয়েছে। এবং সত্যিই যদি তেমন হয়, তাহলে পাকিস্তানের অবস্থান সম্পূর্ণ বদলে যাবে।"
সংবাদপত্রের সম্পাদক এবং প্রবীণ সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলোচনায় ইমরান এ কথা জানান। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনও তথ্য দেননি তিনি। এ ব্যাপারে মুখ খোলেনি এক্সনমোবিল এবং আন্তর্জাতিক তৈল খনন কোম্পানি ইএনআই-ও। জানুয়ারি মাস থেকে সমুদ্রের ২৩০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে গভীর কূপ খনন করছে তারা। এই এলাকা কেকরা ১ নামে পরিচিত।
ইটালির সংস্থা ইএনআই এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক্সনমোবিল পাকিস্তানের আরব সাগরের তীরবর্তী এলাকায় গ্যাসের জন্য খনন চালাচ্ছে। আরও বেশ কিছু পশ্চিমি সংস্থা এ কাজ শুরু করলেও এক দশক আগে ইসলামি জঙ্গিদের সন্ত্রাসের কারণে কাজ ছেড়ে চলে যায়। গত বছর পাকিস্তানি জলভাগে বিপুল তৈলভাণ্ডারের সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছিল কয়েকটি সমীক্ষায়।
এরই সূত্রে প্রায় এক দশক পরে এক্সনমোবিল পাকিস্তানে ফেরে। পাক প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস, বড়সড় তৈলখনির সন্ধান মিললে পাকিস্তানের আর্থিক সমস্যা অনেকটাই সমাধিত হবে এবং প্রগতির পথও সহজ হয়ে যাবে। ইমরান খান বলেন, তিনি যখন দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তখন বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ারের হাল ছিল বেশ খারাপ, এবং আইএমএফ তখন কঠিন শর্ত আরোপ করতে শুরু করেছিল।
ইমরানের কথায়, বন্ধু দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, চিন এবং বিশেষত সৌদি আরবের সহায়তায় এ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটে।