পাকিস্তানের জাতীয় দিবস বয়কটের সিদ্ধান্ত নিল এনডিএ সরকার। একই দিনে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানালেন নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে তিনি একটি বার্তা পেয়েছেন। বার্তা মারফত জানানো হয়েছে "ভারতীয় উপমহাদেশের প্রতিটি দেশই সমগ্র অঞ্চলে গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সন্ত্রাস এবং হিংসামুক্ত সমাজের জন্য কাজ করবে"।
Received msg from PM Modi: "I extend my greetings & best wishes to the people of Pakistan on the National Day of Pakistan. It is time that ppl of Sub-continent work together for a democratic, peaceful, progressive & prosperous region, in an atmosphere free of terror and violence"
— Imran Khan (@ImranKhanPTI) March 22, 2019
পাক জাতীয় দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানের পরপরই ইমরান খান বলেন, "আমাদের দেশের মানুষের প্রতি নরেন্দ্র মোদী যে বার্তা দিয়েছেন, আমি তাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমি মনে করি দু'দেশের মধ্যে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে কথা বলার সময় এসেছে। শান্তি এবং সমৃদ্ধির ভিত্তিতে এবার সম্পর্ক গড়ে উঠুক"।
I welcome PM Modi's message to our people. As we celebrate Pakistan Day I believe it is time to begin a comprehensive dialogue with India to address & resolve all issues, esp the central issue of Kashmir, & forge a new relationship based on peace & prosperity for all our people.
— Imran Khan (@ImranKhanPTI) March 22, 2019
আরও পড়ুন, ‘কংগ্রেস অপমান করছে ভারতীয় সেনাকে, ছি:’ মোদী
এই মন্তব্যের ঘণ্টা খানেক আগেই খান টুইট করে মোদীর শুভেচ্ছা বার্তা উল্লেখ করেন। লক্ষ্য করার বিষয়, মোদী কিন্তু তাঁর বার্তায় সন্ত্রাসের বিষয়টির ওপর জোর দিলেন। ইমরান আলাদা করে উল্লেখ করলেন কাশ্মীর সমস্যার কথা। শুক্রবার পাক জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে কোনও সরকারি প্রতিনিধি পাঠাল না ভারত। এই প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার জানিয়েছেন, "পাকিস্তান হাই কমিশন হুরিয়ত গোষ্ঠীকে উদযাপনে শামিল হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তারপরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে"। তিনি আরও জানিয়েছেন, "পাকিস্তান হাই কমিশন অথবা পাক নেতৃত্ব কোনও ভাবে হুরিয়ত গোষ্ঠীকে উদযাপনের অংশ হিসেবে জড়াতে চাইলে তা আদৌ হালকা ভাবে নেওয়া হবে না, ভারত সে ব্যাপারে খুবই স্পষ্ট"।
আদতে অবশ্য জাতীয় দিবস উদযাপন মঞ্চে হুরিয়ত গোষ্ঠীর কাউকেও উপ্সথিত থাকতে দেখা গেল না। শাসক দল অবশ্য মনে করছে প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানকে যে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন, তা নিতান্তই কূটনৈতিক সৌজন্যের খাতিরে। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাফাল কাণ্ডকে ধামা চাপা দিতেই 'পাক সন্ত্রাস' কে হাতিয়ার করে মানুষের জনপ্রিয়তা অর্জন করতে চাইছেন মোদী, অভিযোগ বিরোধী দলের।