মঙ্গলবার নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেখানে গোটা জম্মু-কাশ্মীর ও গুজরাটের জুনাগড়কে পাক ভূখণ্ডের অংশ বলে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এইসব অঞ্চলকে 'বিতর্কিত' বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তান এই মানচিত্র প্রকাশ করার পরেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কড়া প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়, এটা পাকিস্তানের ‘রাজনৈতিক পাগলামি’ ছাড়া আর কিছুই নয়।
জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ ও রাজ্যকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার বর্ষপূর্তির আজ। অন্যদিকে রামমন্দিরের ভূমি পুজোও হবে বুধবার। তার আগেই পাকিস্তানের নয়া মান চিত্র প্রকাশ করাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
বিদেশমন্ত্রক সরকারিভাবে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে, 'পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছেন। যেটা রাজনৈতিক পাগলামি। ওই মান চিত্রে গুজরাটের জুনাগড় ও আমাদের কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে পাক ভূখণ্ড বলে দাবি করা হয়েছে- যা কোনও মতেই সমর্থনযোগ্য নয়। এইসব হাস্যকর দাবিগুলোর আইনগত বৈধতা বা আন্তর্জাতিক বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। এই পদক্ষেপ সীমান্ত সন্ত্রাস দ্বারা পুষ্ট হয়ে ভূখণ্ড বিস্তারে পাকিস্তানের বাস্তবতাকেই নিশ্চিত করে।'
নতুন ম্যাপ প্রকাশ করে ইমরান খানের দাবি, গত বছর ৫ অগস্ট ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করে 'বেআইনি পদক্ষেপ' করেছিল। পাক ফেডারেল ক্যাবিনেট এই দাবিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। পাকিস্তানের সরকারি পাঠক্রমেও এবার থেকে নয়া মানচিত্র ব্যবহার করা হবে বলে দাবি করেছেন ইমরান।
নতুন মানচিত্রে জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ এমনকি গুজরাতের জুনাগড়কে 'বিতর্কিত অংশ' বলে নিজেদের দেশের ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করেছে পাকিস্তান। শিয়াচেনও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ওই মানচিত্রে পূর্ব কাশ্মীরের কোনও সীমানা দেখা যাচ্ছে না। এই অঞ্চল চিনাদের দখলে রয়েছে।
মানচিত্রে ফেডারেল প্রশাসন শাসিত উপজাতীয় অঞ্চলগুলিকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের অংশ হিসাবে দেখানো হয়েছে।
ইসলামাবাদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা শ্রীনগর হাইওয়ে নামকরণে সম্মতি দিয়েছে পাকিস্তান ক্যাবিনেট। এর আগে এই সব সড়ক কশ্মীর হাইওয়ে নামে পরিচিত ছিল।
জুনাগড়কে তাদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করার পাক প্রচেষ্টা এই প্রথম নয়। ২০১২ সালে অ্যাটলাস অফ ইসলামিক রিপাবলিক অফ পাকিস্তান জুনাগড়কে পৃথক অঞ্চল বলে দাবি করেছিল।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন