পরমাণু তথ্য পাচারের অভিযোগে প্রাক্তন সেনাকর্তার মৃত্যুদণ্ড পাকিস্তানে
মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত প্রাক্তন সেনা আধিকারিকের নাম ব্রিগেডিয়ার রাজা রিজওয়ান। তাঁর সঙ্গেই প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞানী ওয়াসিম আক্রমকে। ১৪ বছরের জন্য কারাদণ্ড পেয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জাভেদ ইকবাল।
মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত প্রাক্তন সেনা আধিকারিকের নাম ব্রিগেডিয়ার রাজা রিজওয়ান। তাঁর সঙ্গেই প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞানী ওয়াসিম আক্রমকে। ১৪ বছরের জন্য কারাদণ্ড পেয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জাভেদ ইকবাল।
দেশের পরমাণু গবেষণা সংক্রান্ত গোপন তথ্য বিদেশে পাচার করার অভিযোগে সেনাবাহিনীর এক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার এবং এক বিজ্ঞানীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হল পাকিস্তানে। একই অভিযোগে সেনাবাহিনীর এক লেফটেন্যন্ট জেনারেলকে ১৪ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া এই শাস্তির খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
Advertisment
দণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত তিনজন কাদের হয়ে কাজ করতেন, তা নিয়ে বিভিন্ন রকম জল্পনা শুরু হয়েছে। একটি সূত্রের দাবি, এই তিনজন পাকিস্তানের পরমাণু গবেষণা সংক্রান্ত তথ্য ভারতের কাছে পাচার করেছেন। অন্য একটি সূত্র অনুযায়ী, এঁরা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র হয়ে চরবৃত্তি করতেন। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াসিম পাকিস্তানের কাহুটা রিসার্চ ল্যাবে কর্মরত ছিলেন।
Advertisment
রেমন্ড ডেভিস কাণ্ডের সময় লেফটেন্যাট জেনারেল জাভেদ ইকবাল পাকিস্তানের সামরিক অপারেশনের ডিরেক্টর জেনারেল ছিলেন। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তিনি মোট ৩১টি অপারেশনে কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এরপর তিনি অবসর নেন।
ব্রিগেডিয়ার রাজা পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত তিনি জার্মানির পাক দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন। ২০১৪ সালে রাজা অবসর নেন। ২০১৮ সালের অক্টোবরে তাঁকে হেফাজতে নেয় গোয়েন্দা বাহিনী। রাজার ছেলে গত বছরের ২৩ অক্টোবর ইসলামাবাদ হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করে অভিযোগ করেন, গত ১৩ দিন ধরে তাঁর বাবাকে পাওয়া যাচ্ছে না। এর পাঁচ মাস পরে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানায়, চরবৃত্তির অভিযোগে দুই প্রাক্তন সেনা আধিকারিককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁদের নাম জানানো হয় নি।