কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার ভয় থেকেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ২০ টি জঙ্গি শিবির বন্ধ করে দিল পাকিস্তান। সরকারি হিসেব বলছে এই মরশুমে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর অনুপ্রবেশের ঘটনা তেমন ঘটেনি। আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) যে কোনও মুহূর্তে ব্ল্যাক লিস্টেড করে দিতে পারে পাকিস্তানকে, এই ভয় থেকেই জঙ্গি গোষ্ঠী গুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা শুরু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গোয়েন্দা বিভাগের ওপর মহলের খবর গত জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এফইটিএফ এর বৈঠকের পর থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করে পাকিস্তান।
গোপন সূত্রে খবর, "পাকিস্তানের আর্থিক তছরুপের বিষয় থেকে জঙ্গি মদতের দিকে আন্তর্জাতিক দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে সফল হয়েছি আমরা। তার ফলও হাতে নাতে পাওয়া যাচ্ছে। আগামী অক্টোবরে প্যারিসে এফএটিএফ-এর যে বৈঠক হবে, তাতে পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। তবে ব্ল্যাক লিস্টেড হয়ে যাওয়ার ভয়ই পাকিস্তানকে জঙ্গি কার্যকলাপের ক্ষেত্রে অনেকটা সংযমী করেছে।
কুলভূষণ-রায় : কূটনৈতিক সাফল্যের ধারাবাহিকতাই দেখছে ভারত
সরকারের হিসেব বলছে বিগত তিন দশকের মধ্যে এই প্রথম নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটেনি। তবে সরকারের নথি ঘেঁটে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বুঝেছে এত অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিবেশী দেশের উল্লেখযোগ্য এই পরিবর্তনকে স্থায়ী হিসেবে গ্রাহ্য করছে না ভারত।
সাম্প্রতিক অতীতে যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘনের প্রবণতাও কমেছে পাকিস্তানের। বছরের অন্যান্য সময় প্রতিকূল আবহাওয়া এবং তুষারপাতের কারণে অনুপ্রবেশের সবচেয়ে অনুকূল সময় মে থেকে অক্টোবর। অথচ এ বছর সেই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে না।
শুধু ৯ জুলাই পাকিস্তানের তরফে যুদ্ধবিরতি নীতি ভঙ্গের ঘটনা ঘটেছিল। ভারত-পাক সীমান্তে পীর পঞ্জল শৃঙ্গে ভারতীয় এক জওয়ানের মৃত্যুও হয়।
দিন তিনেক আগে ২৬/১১ মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড এবং জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সইদকে গ্রেফতার করে জেেলে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম। যদিও সে প্রসঙ্গে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রাভিশ কুমার বলেন, ‘‘জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে কৌশলী বার্তা দিতে চাইছে। তবে পাকিস্তানের এমন লোকদেখানো পদক্ষেপে আমাদের বোকা বনে যাওয়া উচিত হবে না’’।
Read the full story in English