ভারতকে হেনস্থা করতে গিয়ে ভুয়ো ভিডিও পোস্ট করে চরম বিড়ম্বনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ভারতে পুলিশ মুসলমানদের ওপরে অত্যাচার, আক্রমণ চালাচ্ছে। এই অভিযোগ করে টুইট করেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেই সঙ্গে একটি ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করেছিলেন। ভিডিওটিতে দেখা যায়, নীল রঙের উর্দিধারী পুলিশ লাঠি হাতে রয়েছেন, তার সামনে পড়ে রয়েছেন একজন। আদপে যা বাংলাদেশের ব়্যাব বা ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের পুরনো ভিডিও বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস বিরোধী লড়াইতে আমাদের নিরপেক্ষ থাকা উচিত ছিল: ইমরান খান
ভুযো খবর ছড়িয়ে পড়তেই সোশাল মিডিয়ায় তা ভাইরাল হয়ে যায়। নান মহল থেকে কটাক্ষের শিকার হন পাক প্রধানমন্ত্রী। তারপরই পোস্টটি টুইটার থেকে মুছে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরিদের পাশে দাঁড়াতে যতদূর যেতে হয় যাব: ইমরান খান
শুক্রবার পাকিস্তানে নানকানা সাহিব গুরুদোয়ারায় আটকে পড়েন পুণ্যার্থীরা। উত্তেজিত জনতা গুরুদ্বারের পুণ্যার্থীদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে বলে অভিযোগ। যার নিন্দা করে ভারত। সেদেশের শিখ পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে আবেদন জানান পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। উল্লেখযোগ্যভাবে, তার পরেই ইমরান খান ওই ভিডিও ফুটেজটি টুইট করেছিলেন। পরে যা মিথ্য বলে প্রমাণিত।
পুলওয়ামা-বালাকোট এয়ার-স্ট্রাইক থেকে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ, সিএএ- নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। কাশ্মীর ও সিএএকে ভারতের 'অভ্যন্তরীণ' বিষয় বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। কিন্তু, আন্তর্জাতিতস্তরে ভারতকে হেয় প্রতিপন্ন করতে মরিয়া ইসলামাবাদ। কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের দ্বারস্থ হয়েও সুবিধা করতে ব্যর্থ 'কাপ্তান' ইমরানের পাকিস্তান। এদিকে মোদী সরকার বারে বারেই বলছে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত। নেহেরু-লিয়াকত চুক্তি পাকিস্তান না মানাতেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তৈরি করতে হয়েছে। তাই পাল্টা ভারতকে অপদস্ত করতে এবার ভিডিও সহ টুইট করেছিলেন ইমরান খান। কিন্তু, নিজের পাতা ফাঁদে পড়ে অস্বস্তি বাড়ল স্বয়ং পাক প্রধানমন্ত্রীরই।
Read the full story in English