ভারতীয় নৃশংসতার হাত থেকে কাশ্মীরিদের রক্ষা করতে যতদূর প্রয়োজন ততদূর যাবে পাকিস্তান। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এ কথা বলেছেন। জি ৭ সামিটের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার পর কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রস্তাব নরেন্দ্র মোদী ফের একবার খারিজ করে দেওযার কয়েকঘণ্টা পর এই বক্তব্য রেখেছেন ইমরান খান।
টেলি ভিডিও মাধ্যমে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইমরান খান বলেন, ৮০ লক্ষ কাশ্মীরির পাশে আছেন তিনি। জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার নিয়ে ভারত সরকারকে এক হাত নিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
ইমরান খান বলেন, "কাশ্মীরিদের স্বায়ত্তশাসন প্রত্যাহার করে ঐতিহাসিক ভুল করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ঔদ্ধত্য থেকে। কাশ্মীরে প্রচুর সেনা মোতায়েন করে কাশ্মীরকে আত্মসাৎ করেছে ভারত সরকার। ওরা নেহরুর কাশ্মীরকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভেঙেছে, ওরা নিজেদের আদালতের বিরুদ্ধে গিয়েছে, ওরা রাষ্ট্র সংঘের অনুমোদিত সিদ্ধান্তকে অমান্য করেছে। সারা দুনিয়া ৮০ লক্ষ কাশ্মীরিদের পাশে থাকুক বা না থাকুক, পাকিস্তান কাশ্মীরের পাশে রয়েছে।"
পুলওয়ামা হামলার পরবারত-পাক সম্পর্কের অবনতি নিয়েও মুখ খুলেছেন ইমরান। তিনি বলেন, "স্থানীয় কাশ্মীরি যুবকের এই হামলার পিছনে উদ্দেশ্য বা কারণ কী তা নিয়ে তদন্ত করার বদলে ভারত সরকার পাকিস্তানের উপর দোষ চাপিয়ে দিয়েছে।"
এদিনের ভাষণে আরএসএসকেও নিশানা করেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "মোদী নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে আদর্শগত অনুপ্রেরণা জোগায় আরএসএস, যারা বিশ্বাস করে ভারত হিন্দুদের দেশ এবং সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে গণ্য করে। এই ভাবনা থেকেই কাশ্মীর নিয়ে পদক্ষেপ করেছে ভারত সরকার।"
ইমরান আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছে কাশ্মীর বিষয়ে নজর দেওয়ার আবেদন করে বলেছেন দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যু্দ্ধ বাধলে তা সংশ্লিষ্ট এলাকার পক্ষেই নয়, সারা পৃথিবীর কাছেই অমঙ্গলের চিহ্ন।
Read the Full Story in English