ভারত বিরোধীতা করতে গিয়ে কাশ্মীদের প্রতি ভালোবাসা উতলে উঠছে কাপ্তানের। কাশ্মীদের প্রতি সহমর্মী হয়ে এবার জনসভার ডাক দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আগামী পরশু, ১৩ই ফেব্রুয়ারি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরাবাদে হবে এই জনসভা। টুইটে জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। কাশ্মীরিদের উপর ভারতীয় সেনার অত্যাচারের বিষয়টি এই জনসভা থেকে বিশ্ব মানচিত্রে তুলে ধরা যাবে বলে মনে করেন ইমরান খান। পাকিস্তান কাশ্মীরিদের পাশে রয়েছে-এই বার্তাও নিয়ন্ত্রণ রেখার এপারে জোরালোভাবে পৌঁছে দিতে তৎপর তিনি।
জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করেছে কেন্দ্র। যা নিয়ে শুরু থেকেই সরব পাকিস্তান। তাদের দাবি, উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণ জারি রেখে কাশ্মীরিদের মানবাধিকার খর্ব করছে নয়াদিল্লি। চিনের সহায়তায় ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর ইস্যুকে তুলে ধরেছে ইসলামাবাদ। তাতে অবশ্য মুখ পুড়েছে তাদের। এতে অবশ্য হার মানতে নারাজ ভারতের প্রতিবেশী দেশটি। কাশ্মীদের অবস্থা প্রচার করতে কার্যত সরকারি উদ্যোগেই প্রতি সপ্তাহে চলে বিশেষ প্রার্থনা। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অনুরোধে মুসলিমরা নিয়ম করে প্রতি শুক্রবার প্রার্থনা করছেন। ইমরানের কথায়, 'আমরা শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত কাশ্মীরিদের পাশে দাঁড়াবো।'
আরও পড়ুন: উপত্যকায় গুলির লড়াইয়ে নিহত লস্কর জঙ্গি
রাষ্ট্রসংঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ভারতকে কাশ্মীরিদের মানবাধিকারের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপের আর্জি জানিয়েছে। কাউন্সেলের বৈঠকে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি কাশ্মীরে বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের জন্য ভারতকে নির্দেশ দেওয়ার দাবি জানান কাউন্সিলের কাছে। তাঁর আর্জি ছিল, রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিল বাস্তব অবস্থা খতিয়ে দেখতে কমিশন গঠনের আর্জি জানান। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ও বিদেশি সংবাদ মাধ্যমকে যেন সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়, সে কথাও তুলে ধরেন। পরে অবশ্য কুরেশির মুখ দিয়ে বেরিয়ে পরে, 'কাশ্মীর ভারতেরই অংশ।'
আরও পড়ুন: এইমসে শুরু উন্নাওকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া
ভারত অবশ্য পাকিস্তানের দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে 'ভ্রান্ত রাজনৈতিক স্বার্থে' ব্যবহার করা হচ্ছে। পাকিস্তানের নাম না নিয়েই ভারত জানায়, 'মনগড়া আখ্যানের প্রচার চলছে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল থেকে। যেখানে জঙ্গিনেতারা বছরের পর বছর মদত পেয়ে আসে।'
কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাক বাক যুদ্ধ তুঙ্গে। এই অবস্থায়, আগামী ২৭শে সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় বক্তব্য পেশ করবেন নরেন্দ্র মোদী ও ইমরান খান।