ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সামিটে যোগ দিতে ইমরানকে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে খবর। বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রাভিশ কুমার বলেন, ‘‘৮ দেশ ও ৪ পর্যবেক্ষককে আমন্ত্রণ জানানো হবে’’।
উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা বাতিল ঘিরে ভারত-পাক সম্পর্ক কার্যত তলানিতে ঠেকে। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে সোচ্চার হন ইমরান। লাগাতার ভারত সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা যায় পাক প্রধানমন্ত্রীকে। এমনকি, এ ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘেও দরবার করেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ইস্যুতে সরব হতে দেখা গিয়েছে ইমরানকে। এই আবহে পাক প্রধানমন্ত্রী ভারত এলে তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হবে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: মোদীকে কটাক্ষ করে দেওয়াল লিখন, দুদিনের জন্য বন্ধ কলেজ
জম্মু-কশ্মীর ইস্যু প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রাভিশ কুমার বলেন, ‘‘রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যের (চিন) মাধ্যমে এ ইস্যুতে সওয়াল করেছিল পাকিস্তান। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ জানিয়েছিল, এ ইস্যু নিয়ে আলোচনা সঠিক জায়গা নয় এটা। দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করা উচিত’’।
অন্যদিকে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে যখন তোলপাড় এ দেশ, সেই আবহে নানকানা সাহিব গুরুদ্বারে হামলার ঘটনা নয়া মাত্রা এনে দিয়েছে। এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সরব হন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘‘পেশোয়ারে সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের উপর হামলার ঘটনায় ভারত ধিক্কার জানাচ্ছে’’। অন্যদিকে, নানকানা সাহিবে হামলার দু’দিনের মধ্যেই পাকিস্তানের পেশোয়ার শহরে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির হাতে খুন হন এক শিখ যুবক। এই ঘটনাপ্রবাহে পাক প্রধানমন্ত্রীকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ উল্লেখযোগ্য হবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।
Read the full story in English