দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় গত ১৪ ফেব্ররুয়ারির প্রাণঘাতী হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুর দায় স্বীকার করে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জৈশ-এ-মহম্মদ। শুক্রবার সেই জৈশের প্রধান ঘাঁটির প্রশাসনিক দখল নিল পাকিস্তান সরকার।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরিকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, "পাঞ্জাব সরকার বাহাওয়ালপুরে জৈশ-এ-মহম্মদের সদরের দখল নিয়েছে। বাহাওয়ালপুরে মাদ্রেসাতুল সাবির এবং জামা-এ-মসজিদ সুভানাল্লাহ যে ক্যাম্পাসে অবস্থিত, সেটি সরকারিভাবে অধিকার করে নেওয়া হয়েছে...এবং এই ক্যাম্পাসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একজন প্রশাসনিক অধিকর্তাকে।"
এই ঘটনার একদিন আগে পুলওয়ামা হামলার জেরে রাজধানী ইসলামাবাদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে সেদেশের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির একটি বৈঠকের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
তাদের মাটিতে বেড়ে ওঠা বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে দমন করার জন্য প্রবল আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়েছে ইসলামাবাদ। বৃহস্পতিবার রাতে একটি বৈঠক করে রাষ্ট্রসংঘের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ, যার সদস্যদের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের মিত্ররাষ্ট্র চিন। বৈঠকের পর একটি বিবৃতিতে জৈশের নাম করে পুলওয়ামা হামলাকে "ঘৃণ্য এবং কাপুরুষোচিত" আখ্যা দিয়ে পরিষদ জানায়, ঘটনার "তীব্র নিন্দা" জানাচ্ছে তারা।
পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ গৃহমন্ত্রক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, যে ক্যাম্পাসটি অধিগৃহীত হয়েছে, সেখানে অবস্থিত ইসলামিক শিক্ষালয়গুলিতে আপাতত রয়েছেন ৭০ জন শিক্ষক এবং ৬০০ জন শিক্ষার্থী। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ক্যাম্পাসে সুরক্ষার দায়িত্ব পাঞ্জাব পুলিশের।
একটি টুইটার পোস্টে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, "এই পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির গতকালের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে।"
এছাড়াও বৈঠকে "নিষিদ্ধ সংগঠনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ ত্বরান্বিত করা হবে" বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার ফলে রাষ্ট্রসংঘের দ্বারা নিষিদ্ধ এবং আমেরিকায় ২৬/১১ হামলার কাণ্ডারী হাফিজ সইদের নেতৃত্বাধীন জামাত-উদ-দাওয়া ও তার শাখা সংগঠন ফলাহ-ই-ইনসানিয়তের বিরুদ্ধে পাকিস্তানে নিষেধাজ্ঞা পুনরায় জারি করা হলো।