/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/07/kulbhushan-759.jpg)
ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
কুলভূষণ যাদব মামলায় নয়া মোড়। মৃত্য়ুদণ্ডের সাজা পুনর্বিবেচনার জন্য় রিভিউ পিটিশন দায়েরের বদলে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানাতে চান কুলভূষণ, এমন দাবিই করেছে পাকিস্তান। চরবৃত্তির অভিযোগে প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনীর অফিসার কুলভূষণকে মৃত্য়ুদণ্ডের সাজা দিয়েছে সে দেশের আদালত। এদিন ইসলামাবাদের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত্য়ুদণ্ডের সাজার পুনর্বিবেচনার জন্য় রিভিউ পিটিশন দায়ের করতে অস্বীকার করেছেন কুলভূষণ। পাকিস্তানের এহেন দাবির পাল্টা সরব হয়েছে নয়া দিল্লিও।
বিদেশ মন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকে অতিরিক্ত অ্য়াটর্নি জেনারেলকে উদ্ধৃত করে পাক সংবাদমাধ্য়ম জানিয়েছে, ''গত ১৭ জুন, ভারতীয় নাগরিক কুলভূষণ যাদবকে মৃত্য়ুদণ্ডের সাজা পুনর্বিবেচনায় রিভিউ পিটিশন দায়ের করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি রিভিউ পিটিশন দায়ের করতে অস্বীকার করেছেন''।
ওই সাংবাদিক বৈঠকে, আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল যে প্রাণভিক্ষার আর্জি দায়ের করেছিলেন কুলভূষণ, সেই আর্জি নিয়েই এগোতে চান তিনি। অন্য়দিকে, কুলভূষণকে দ্বিতীয়বারের মতো কনস্য়ুলার অ্য়াকসেস দিয়েছে পাক সরকার।
আরও পড়ুন: রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন-ইন্দিরা গান্ধী ট্রাস্টের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ মোদী সরকারের
এ প্রসঙ্গে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে পাল্টা বলা হয়েছে, ''যাদবকে যেভাবে মৃত্য়ুদণ্ডের সাজার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা বিচারব্য়বস্থার নামে প্রহসন। এখনও যাদব পাকিস্তানের সেনার হেফাজতে রয়েছেন। এটা স্পষ্টত যে, রিভিউ পিটিশন যাতে কুলভূষণ দায়ের না করতে পারেন, সেজন্য় তাঁকে বাধ্য় করা হয়েছে''।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩ মার্চ কুলভূষণকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল পাকিস্তান। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে চরবৃত্তির অভিযোগে কুলভূষণকে মৃত্য়ুদণ্ডের সাজা শোনায় পাকিস্তানের সামরিক আদালত। এরপরই এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা জানিয়ে আন্তর্জাতিক ন্য়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারত।
গত বছরের জুলাই মাসে রায়ে আন্তর্জাতিক ন্য়ায় আদালত নির্দেশ দেয়, কুলভূষণকে কনস্য়ুলার অ্য়াকসেস দিতে হবে পাকিস্তানকে। পাশাপাশি মৃত্য়ুদণ্ডের সাজা পুনর্বিবেচনা করতে হবে। কনস্য়ুলার অ্য়াকসেস না দিয়ে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে পর্যবেক্ষণ করে আদালত।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন