শনিবার পুলওয়ামা কাণ্ডের জেরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার ঘোষণা করল ভারত সরকার। রবিবার পাকিস্তানের এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক জানালেন, তাঁর দেশের 'মোস্ট ফেভারড নেশন' তকমা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত, সরকারিভাবে এমন কোনো সংবাদ তাঁরা পান নি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বাণিজ্য উপদেষ্টা রাজাক দাউদ জিও নিউজকে বলেন, "আমরা 'মোস্ট ফেভারড নেশন' তকমা প্রত্যাহারের বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ভারতের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করতে পারি আমরা।"
দাউদ আরও বলেন, পাকিস্তান এই প্রসঙ্গটি বিশ্বের বিভিন্ন মঞ্চে তুলে ধরতে পারে, যাদের মধ্যে রয়েছে ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন, যেহেতু ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই এই সংস্থার সদস্য।
অথচ দুদিন আগেই সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দাউদ জানিয়েছিলেন, "আবেগের বশবর্তী হয়ে" কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না পাকিস্তান, যথোচিত ভাবনাচিন্তার পরেই ভারতের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানাবে। দাউদ বলেছিলেন, "ভারত আমাদের 'মোস্ট ফেভারড নেশন' তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু আবেগের বশবর্তী হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেব না আমরা, ভেবেচিন্তেই প্রতিক্রিয়া জানাব।"
শনিবার অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানিয়ে দেন, পাকিস্তান থেকে ভারতে যে কোনও পণ্য আমদানি করতে হলে ২০০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান হত্যার পর থেকে পাকিস্তানকে একঘরে করার প্রয়াস শুরু করেছে ভারত। সেইমতোই 'মোস্ট ফেভারড নেশন' তকমাও প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্র। উল্লেখ্য, 'মোস্ট ফেভারড নেশন' তকমার সৌজন্যে দুটি দেশের মধ্যে বৈষম্যহীন বানিজ্যিক সম্পর্ক নিশ্চিত করা হয়।
'মোস্ট ফেভারড নেশন' তকমার গুরুত্ব কতটা, তা বোঝা যায় জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্যারিফস অ্যান্ড ট্রেড (GATT)-এর প্রথম অনুচ্ছেদটি পড়লেই।ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো সদস্য দেশ তার বাণিজ্যিক সহযোগীদের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণ করতে পারে না। কোনো বাণিজ্যিক সহযোগীকে বিশেষ মর্যাদা দিলে, তা বাকি সদস্যদেরও দিতে হবে।