কোনও পরিকল্পিত হামলায় নয়, পেশোয়ারে শিখ যুবক রবীন্দর সিংকে হত্যার পিছনে রয়েছে স্বয়ং তাঁর বাগদত্তা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত প্রেম কুমারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাক সংবাদ পত্র এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের রিপোর্ট অনুশারে, রবীন্দরকে বিয়েতে রাজি ছিলেন না ওই যুবতী। ফলে পেশাদার খুনী দিয়ে শিখ যুবককে হত্যার পরিকল্পনা করিয়েছিল প্রেম কুমারী। এছাড়াও জানা গিয়েছে, খুনীদের সাত লক্ষ টাকার বরাত দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে বেশ কিছু টাকা খুনের আগেই দুষ্কৃতীদের দেওয়া হয়েছিল। বাকি টাকা পরে দেওয়ার চুক্তি হয়।
পাক সংবাদ মাধ্যমে গত শনিবার প্রকাশ পায় পেশোয়ারে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির হাতে খুন হয়েছেন রবীন্দ্র সিং নামে এক শিখ যুবক। রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই শিখ ব্যক্তি হলেন পারবিন্দর সিং। রবীন্দর পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের প্রথম শিখ সঞ্চালক হরমীত সিংয়ের ভাই। তদন্তকারীদের মতে, মরদানে হত্যা করে পেশোয়ারে ফেলে দেওয়া হয় রবীন্দরের দেহ। এক অফিসারের কথায়, 'তদন্তের দৃষ্টি ঘোরাতে দুষ্কৃতীরা খুন করে রবীন্দরের পরিবারের থেকে টাকা দাবি করেছিল।'
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে খুন শিখ যুবক, অবিলম্বে তদন্তের দাবি ভারতের
এই ঘটনা জানতে পেরে পাকিস্তানকে এই খবর বন্ধ করার নির্দেশ দেয় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রক। পাশাপাশি অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'পেশোয়ারের সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়ের সদস্যকে এভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে ভারত। যা নানকানা সাহেবের পবিত্র গুরুদ্বার সাম্প্রতিক ভাঙচুর, অপহরণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ এবং শিখ মহিলা জগজিৎ কৌড়রকে বিবাহের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।' বিবৃতিতে বলা হয়, 'পাকিস্তান সরকারকে এই জঘন্য কাজ যারা করেছে সেই সকল ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ভারত। পাকিস্তান সরকারের উচিত অন্য দেশগুলির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা না বলে নিজস্ব সংখ্যালঘুদের প্রতিরক্ষায় কাজ করা।'
এর আগে ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেসকে তদন্তকারীরা জানিয়েছিল ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে তারা শিখ যুবক হত্যার তদন্ত করছেন। রবীন্দরের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরে। এই হত্যার সঙ্গে তার কোনও যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Read the full story in English