ভারত থেকে 'দৈত্যাকার হৃদযন্ত্র' সঠিক মাপে কাটিয়ে ঘরে ফিরল পাকিস্তানের শিশু

শুধু যে শ্বাসকষ্ট হত, তাই নয়, খেতেও খুব সমস্যা হত ওই শিশুর। ঘন ঘন ফুস্ফুসে সংক্রমণ হত। ১৪ মাস বয়সে ওজন ছিল সাড়ে ৬ কেজি। চিকিৎসকরা বলেছিলেন এই বয়সে দ্বিগুণ হওয়া উচিত ওজন। 

শুধু যে শ্বাসকষ্ট হত, তাই নয়, খেতেও খুব সমস্যা হত ওই শিশুর। ঘন ঘন ফুস্ফুসে সংক্রমণ হত। ১৪ মাস বয়সে ওজন ছিল সাড়ে ৬ কেজি। চিকিৎসকরা বলেছিলেন এই বয়সে দ্বিগুণ হওয়া উচিত ওজন। 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

রাতে শ্বাসকষ্টের চোটে ঘুমোতে পারত না ১৪ মাসের ছোট্ট শিশুটা। চিকিৎসকরা বললেন ওইটুকু শরীরে নাকি লুকিয়ে আছে দৈত্যাকার একটা হ্রদয়। দিল্লির এক বেসরকারি হাসপাতালে সফল ভাবে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হল পাকিস্তান থেকে আসা সেই শিশুর।

Advertisment

রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বলেছেন এই বয়সে এত বড় বাম অলিন্দ থাকাটা অস্বাভাবিক। ছোট্ট শরীরের হৃদপিণ্ডের বাম কুঠুরির আয়তন বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৮৭ মিলিলিটার।

শুধু যে শ্বাসকষ্ট হত, তাই নয়, খেতেও খুব সমস্যা হত ওই শিশুর। ঘন ঘন ফুস্ফুসে সংক্রমণ হত। ১৪ মাস বয়সে ওজন ছিল সাড়ে ৬ কেজি। চিকিৎসকরা বলেছিলেন এই বয়সে দ্বিগুণ হওয়া উচিত ওজন।

Advertisment

এক সঙ্গে নানা শারীরিক জটিলতার জন্য পাকিস্তান থেকে বলা হয়েছিল দেশের বাইরে অন্য কোথাও নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হোক। স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ নীরজ আগরওয়াল বললেন, "শিশুটির অস্বাভাবিক কম ওজন দেখে আমরা ভয় পেয়ে গেছিলাম। তার ওপর হৃদযন্ত্রের বাঁ দিকের কুঠুরি অস্বাভাবিক রকমের বড়, স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ৪ গুণ। বুকের অন্য অঙ্গগুলোয় চাপ পড়ছিল খুব"।

আরও পড়ুন, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বিনামূল্যে হৃদ প্রতিস্থাপন মেডিক্যাল কলেজে

শিশুটির হৃদযন্ত্রে একসঙ্গে তিনটি সমস্যা ধরা পড়ে। সামান্য ফুটো ছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন তিন মাস বয়সের ওপর হয়ে গেলে এক সঙ্গে একাধিক অস্ত্রোপচার করা যায় না। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে "ওপেন হার্ট সার্জারির মাধ্যমে তিনটি সমস্যার সমাধান করা গিয়েছে। শিশুদের মধ্যে বাম অলিন্দ দৈত্যাকার হয়ে যাওয়ার সমস্যা খুবই ভয়াবহ হতে পারে। এমন কী মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে"।

অ্যানালস অব থোরাসিক সার্জারি জার্নালে প্রকাশিত গয়েছে এই বিরল ঘটনা। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার চলেছে। চিকিৎসায় মোট খরচ হয়েছে ৩ লক্ষ টাকা। অস্ত্রোপচারের সাত দিন পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে শিশুটিকে।
ডঃ আগরওয়াল জানিয়েছেন, "অনেক অভিভাবকেরা সার্জারিতে ভয় পান। কিন্তু আমি পরামর্শ দেব এ সমস্ত জটিল হৃদজনিত রোগের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সুস্থ জীবন পেতে অস্ত্রোপচারের বিকল্প নেই। ভারতে এই অস্ত্রোপচার সম্ভব। ভবিষ্যতে অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের একটা সুস্থ জীবন দিতে এই পথেই হাটুন"।

Read the full story in English