Advertisment

মহাবিপদ! সেনা স্কুলে পড়ুয়াদের ফোন করছে আইএসআই, দুশ্চিন্তায় সেনাকর্তারা

স্কুলশিক্ষক পরিচয় দিয়ে ফোন করা হচ্ছে পড়ুয়াদের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Army schools in J&K

যারা ফোন করছে, তারা নিজেদের 'স্কুল শিক্ষক' হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। আর, ছাত্রদের কাছে তাদের পরিবারের সদস্য এবং শিক্ষকদের তথ্য-সহ তাদের ব্যক্তিগত বিবরণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে।

পাকিস্তানি গোয়েন্দারা জম্মু-কাশ্মীরের সেনা স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ব্যক্তিগত বিবরণ জানার চেষ্টা করছে। একথা জানতে পারার পরই জম্মু ও কাশ্মীরের সেনা স্কুলগুলোর জন্য সেনাকর্তাদের চিন্তা কয়েকগুণ বেড়েছে। সেনাবাহিনী সূত্রে এমনটাই জানতে পেরেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ঊর্ধ্বতন সেনা আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে তাঁরা সেনা স্কুলের পরিচালনাকারী আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

Advertisment

সেনাস্কুলের আধিকারিকদের জানিয়েছেন, যাতে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করেন। আর, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলো ডিলিট করে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে সেনাকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে খবর আছে বিশেষ দুটি মোবাইল নম্বর থেকে সেনাস্কুলের শিক্ষার্থীরা কল এবং হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাচ্ছে। আর্মি ওয়েলফেয়ার এডুকেশন সোসাইটি ওই দুটি মোবাইল নম্বর শিক্ষার্থীদের জানিয়েও দিয়েছে।

সেনাকর্তারা জানিয়েছেন, যারা ফোন করছে, নিজেদের 'স্কুল শিক্ষক' বলে পরিচয় দিচ্ছেন। তারা ফোনে ছাত্রদের কাছে নিজেদের শিক্ষক বলে পরিচয় দিচ্ছে। আর, তাঁদের পরিবারের সদস্য এবং শিক্ষকদের তথ্য-সহ পড়ুয়াদের ব্যক্তিগত বিবরণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, পড়ুয়াদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগদানের জন্যও বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। যারা ফোন করছে তারা সন্দেহভাজন পিআইও (পাকিস্তানি গোয়েন্দা অপারেটিভ) বলে প্রাথমিকভাবে সেনা গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। অভিযুক্তরা কারও রেফারেন্স দিয়ে কল করে প্রথমে বার্তা পাঠাচ্ছে। তারপরে একটি ওটিপি শেয়ার করে ছাত্রদের অন্য গ্রুপে যোগ দিতে বলছে।

আরও পড়ুন- প্রমাণ মিলেছে এলিয়েনের অস্তিত্বের, বিরাট দাবি বিজ্ঞানীর!

শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিশদ বিবরণের মধ্যে যে বিষয়গুলো জানতে চাওয়া হচ্ছে, তা হল তাঁদের বাবার পেশা, তাঁদের স্কুলের রুটিন এবং সময়, এবং তাঁদের ইউনিফর্ম এবং তাঁদের শিক্ষকদের নাম। আর, সেই কারণেই পুরোনো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলো ভেঙে নতুন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরির জন্য সেনাস্কুলের কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন সেনাকর্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, গোটা ঘটনায় রীতিমতো তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন। সেনাকর্তারা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন, যে কাশ্মীরের কিছু যুবক পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছে। সেখান থেকেই তারা স্থানীয় পড়ুয়া ও যুবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ফোন করছে।

army school isi
Advertisment