কাশ্মীর ইস্যুতে কার্যত তলানিতে ভারত-পাক সম্পর্ক। এই আবহে ভারতের গোয়েন্দা বিভাগের হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সমুদ্রপথে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে পারে পাকিস্তানের নৌবাহিনীর কমান্ডোরা। কচ্ছ উপকূল দিয়ে এই অনুপ্রবেশের আশঙ্কা। এমন সতর্কতাই জারি করেছে আইবি। আদানি পোর্টস অ্যান্ড লজিস্টিকসের এক মুখপাত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, আইবি-র তরফে তাঁদের এ বিষয়ে অ্যাডভাইসরি পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, ভারত থেকে যেসব বিমান রওনা দেবে, সেগুলির জন্য তাদের আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে সম্প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তান। জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের সাপেক্ষেই এই হুমকি। ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মন্ত্রী ফওয়াদ চৌধরি মঙ্গলবার টুইট করে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ভারতের জন্য বিমানপথ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবনাচিন্তা করছেন। এর আগে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান তাদের আকাশপথ বন্ধ করে দেয়। বালাকোটে ভারতীয় বিমানবাহিনীর আকাশ হামলার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ১৬ জুলাই সমস্ত অসামরিক বিমানের জন্য আকাশপথ খুলে দেয় তারা।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরিদের পাশে দাঁড়াতে যতদূর যেতে হয় যাব: ইমরান খান
উল্লেখ্য, জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের বিরোধিতা জানিয়ে সরব হয়েছে ইমরান খান সরকার। এ নিয়ে বিশ্ব দরবারে সওয়াল করেছে পাকিস্তান। রাষ্ট্রসংঘেও দরবার করেছে পাক সরকার। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ভারত। এমনকি, এ ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে ফ্রান্স-সহ বেশ কয়েকটি দেশ। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদী ও ইমরান খানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। বেশ কয়েকবার কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতাকারী হওয়ার বার্তা দেন ট্রাম্প। কিন্তু জি-৭ সামিটে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে স্পষ্ট ভাষায় মোদী জানিয়ে দেন, কাশ্মীর ইস্যু দ্বিপাক্ষিক বিষয়, তৃতীয় কারও হস্তক্ষেপ দরকার নেই।
Read the full story in English