এ যেন কোনও ছবির সিক্যুয়েল! দু’বছর পর আবারও নতুন কাহিনী নিয়ে হাজির পানামা কেলঙ্কারি, যে কাহিনীতে উঠে এসেছে আরও নতুন নতুন চরিত্র। পানামা কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় ধাপে উঠে এসেছে বেশ কিছু নতুন নাম, উঠে এসেছে বেশ কিছু নয়া তথ্য। আর সেই নয় তথ্যাদি নাড়াচাড়া করে দেখছেন তদন্তকারীরা। এমনটাই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন সিবিডিটি চেয়ারম্যান সুশীল চন্দ্র। পানামা সংক্রান্ত নয়া নথি হাতে পাওয়া মাত্রই, তা প্রাথমিক ভাবে যাচাই করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন সিবিডিটি প্রধান। শুধু তাই নয়, পানামা পেপার সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলার তদন্তপ্রক্রিয়া চলতি আর্থিক বছরের মধ্যেই শেষ করার পথেই হাঁটছেন বলেও জানিয়েছেন সুশীল চন্দ্র।
এ প্রসঙ্গে সুশীল চন্দ্র আরও জানিয়েছেন যে, পানামা পেপার সংক্রান্ত ৬২টি ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে। বিদেশের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের টাকা ডিপোজিট করা হয়েছে, কিন্তু ট্যাক্স রিটার্ন করা হয়নি। এ তথ্যও তদন্তকারীদের হাতে মিলেছে বলে জানিয়েছেন সিবিডিটি চেয়ারম্যান। শুধু তাই নয়, এনডিএ আমলে ঘোষিত কালো টাকা অ্যামনেস্টি স্কিমের সময়ে আত্মসমর্পণও করাও হয়নি এসব ক্ষেত্রে। পানামা পেপারের প্রথম কিস্তি প্রকাশের পরই এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিকে চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি জারি করে ১১৪০ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগের কথা উল্লেখ করেছে সিবিডিটি।পানামা পেপারের ১৬টি ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন আদালতে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একইসঙ্গে ৩২টি ক্ষেত্রে কালো টাকা আইনের ১০নং ধারায় নোটিস জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, Panama Papers: আবার পানামা পেপার্স
পানামা কেলেঙ্কারিতে ইতিমধ্যেই ৪২৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্তপ্রক্রিয়া করেছে আয়কর দফতর। ৭৪টি মামলা কার্যকর করা হয়েছে, অন্যদিকে ৬২টি ক্ষেত্রে তল্লাশি ও সমীক্ষা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে পানামা পেপার ফাঁস হওয়ার দু’বছর পর, নতুন তথ্য ঘেঁটে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড ও বাহামাসে নজরে যেসব অফশোর কোম্পানি রয়েছে, সেই কোম্পানিগুলোর হর্তাকর্তা বিধাতা অনেক ভারতীয় নাগরিকই। ফনসেকার তরফে ওই দুই দেশের কর্তৃপক্ষকে এ তথ্য জানানো হয়েছে ।