মণিপুর হিংসায় কাউকে রেয়াত করা হবে আগেই এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আজ হিংসার বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের সুপারিশ করেছেন অমিত শাহ। মণিপুর হিংসার বিষয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ‘আমরা এই পুরো বিষয়ে একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করব এবং শান্তি কমিটিগুলিকে হিংসা প্রতিরোধে সম্ভাব্য সব ধরণের প্রচেষ্টা করতে বলব’।
মণিপুর হিংসা প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার (১ জুন) এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘তিন দিন ধরে আমি হিংসা কবলিত একাধিক এলাকা পরিদর্শন করেছি। আমি রাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ সহ প্রতিটি সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। মণিপুর হিংসার তদন্তে ভারত সরকার হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে এক কমিটি গঠন করবে।এ জন্য একটি কমিশন গঠন করা হবে। এর পাশাপাশি ভারত সরকার একটি শান্তি কমিটিও গঠন করবে। মণিপুরে অনেক সংস্থা কাজ করছে’।
অমিত শাহ এদিন আরও বলেছেন, ‘নিহতদের পরিবার ক্ষতিপূরণ পাবে। মৃতদের পরিবারকে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মোট ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে ৬টি মামলার তদন্ত করবে সিবিআইয়ের একটি বিশেষ দল। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবাইকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘কোন রমক গুজবে কান দেবেন না। এখন রাজ্যের পরিস্থিতি আগের থেকে উন্নত হয়েছে’।
রাজ্যের পরিস্থিতির উন্নতির বিষয়ে তথ্য দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘১৫টি পেট্রোল পাম্প বেছে নেওয়া হয়েছে, যেগুলো দিনরাত খোলা থাকবে। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে’।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ‘ভারত সরকারের শিক্ষা কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে মণিপুরে পৌঁছেছেন, যাতে শিশুদের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা সহজ করা যায় সে বিষয়ে তারা নজর দেবেন। অমিত শাহ দাবি করেছেন, শিশুদের পড়ালেখায় কোন বাঁধা থাকবে না। চুক্তির শর্তগুলো কঠোরভাবে পালন করতে হবে, যাদের কাছে অস্ত্র আছে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
তথ্য প্রদান করে, অমিত শাহ বলেছেন, ২৯ এপ্রিল মণিপুর হাইকোর্টের একটি সিদ্ধান্তের কারণে, রাজ্যে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে হিংসা শুরু হয়েছিল, যদিও এখন সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অমিত শাহ বলেন, ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্যে আমরা উন্নতি করেছি’।