প্যাংগংয়ের উত্তর প্রান্ত এখনও চিনা সেনার দখলে। গত ৪৮ ঘন্টায় সেখানে চিনা সেনার কার্যকলাপ ও সামরিক নির্মাণ উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফিঙ্গার-৪ এর আরও পশ্চিমে সরতে মরিয়া লালফৌজ। এই পরিস্থিতিতে ফিঙ্গার-৩ এলাকায় বাহিনী মোতায়েন বাড়িয়েছে ভারতীয় সেনা।তবে এর মধ্যেই ফিঙ্গার-৪ পয়েন্টের উঁচু জায়গাগুলির দখল নিয়েছে ভারত।
অগাস্টের শেষ দিকে প্যাংগং তসো হ্রদের দক্ষিণ তীরের নিকটবর্তী উচ্চতাগুলি দখলের প্রস্তুতি চলাকালীনই পৃথক অভিযানে ফিঙ্গার চারের শিখরগুলি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে। সূত্র জানাচ্ছে, ফিঙ্গার ৪-এর ওই এলাকা আগেই দখল করেছিল চিনের পিএলএ। এ বার সেখানই আরও উচ্চস্থান ভারতীয় সেনাবাহিনীর দখলে। ফলে এখন ওই উঁচু অংশ থেকে পিএলএ-র উপর নজর রাখতে পারবে। প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তে যে চার পাহাড়ের চূড়া পুনর্দখল করেছে ভারতীয় সেনা, সেগুলি হল গুরঙ্গ হিল, মগর হিল, মুখপরি ও রেচিং লা।
সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় সেনার তরফে বারবার চিনকে ফিঙ্গার-৪ ছেড়ে যেতে বলা হলেও লালফৌজ তা কানে তোলেনি। উল্টে, মঙ্গলবার থেকে চিনা বাহিনীকে সেখানে সামরিক সঞ্জাম বৃদ্ধি করতে দেখা যায়। যা নজরে আসতেই ওই এলাকায় মুখোমুখি সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে ভারতীয় বহিনী। উত্তেজনা রয়েছে ফিঙ্গার-৩ পয়েন্টে।
লাদাখে চিনা আগ্রাসনের জবাব দিতে পাহাড়ের উপরে যুদ্ধে পারদর্শী ভারতীয় সেনার মাউন্টেন ওয়ারফেয়ার ফোর্সকে মোতায়েন ভারতীয় সেনা। চিন বারবার চেষ্টা করেছে , পাহাড়ের উঁচু জায়গা থেকে ভারতকে সরিয়ে লাদাখে দাপুটে লোকেশনগুলি দখলের। তবে তা সম্ভব হয়নি। ফলে এবার পার্বত্য গতিবিধিতে পটু ভারতীয় সেনার বিশেষ বাহিনী, মাউন্টেন ওয়ারফেয়ার ফোর্সকে উঁচু এলাকায় মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক সেনা অফিসারের কথায়, দু'তরফের সশস্ত্র বাহিনী শ্যুটিং রেঞ্জের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান করেছে। রাতে প্রকৃতিও বিরূপ। এই পরিস্থিতিতে সেনাদের সংযোমী রাখাও বেশ কঠীন কাজ।'
ভারতীয় সেনার তরফে দাবি করা হয়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার উত্তর ও পশ্চিম অংশের একাধিক চূড়ো ভারতীয়দের দখলে। ফলে প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে ভালো অবস্থানে রয়েছে ভারতীয় সেনা। এক সিনিয়ান সেনা অফিসার জানিয়েছেন, 'ফিঙ্গার-৪ পয়েন্টের চারটি চূড়ো লালফৌজ দখল করেছে। কিন্তু, এর বাইরেও বহু উঁচু চূড়ো রয়েছে। যেগুলো ভারতীয় সেনার দখলে। ফলে আমরাই সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছি।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন