Advertisment

সিবিএসই-র প্রশ্ন ফাঁস, গ্রেফতার স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল

দুই শিক্ষক, ঋষভ ও রোহিত ইকনমিকসের প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে পাঠিয়ে দেয় প্রাইভেট টিউটর তৌকিরের কাছে। তৌকির পরীক্ষার একঘণ্টা আগে ছাত্রদের মধ্যে ওই প্রশ্নপত্র বিলি করে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
CBSE

প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীরা (এক্সপ্রেস ফাইল ফোটো)

CBSE paper leak: সিবিএসই প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় এক স্কুলের প্রিন্সিপ্যালকে গ্রেফতারকে করল পুলিশ। বাওয়ানার মাদার খাজানি কনভেন্ট স্কুলের প্রিন্সিপালকে গ্রেফতারির কথা জানিয়েছেন পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। এর আগে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় ওই স্কুলের দুজন শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুলেশের ডেপুটি কমিশনার ডি রাম গোপাল নায়েক. স্কুলের অধ্যক্ষ প্রবীণ কুমার ঝায়ের গ্রেফতারির কথা স্বীকার করেছেন। ওই স্কুলের অনুমোদন বাতিল করে দিয়েছে সিবিএসই।

Advertisment

অন্য আরেক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘যেহেতু ওই অধ্যক্ষ আগাম জামিন পেয়েছেন, ফলে আমরা গ্রেফতারির পর ওঁকে ছেড়ে দিয়েছি। স্কুলের রেজাল্ট যাতে ভালো হয় সে জন্য দুই শিক্ষক যে প্রশ্ন পাঁস করেছেন, সে বিষয়ে অবহিত ছিলেন ওই অধ্যক্ষ।’’

পুলিশ জানিয়েছে, সিবিএসই-র প্রশ্ন ফাঁসের ব্যাপারে অন্তত দুটি গোষ্ঠী সক্রিয় ছিল। ক্লাস টুয়েলভের ইকনমিকসের পেপার ছাড়া ক্লাস টেনের অঙ্কের প্রশ্নপত্রও নির্ধারিত পরীক্ষার আগেই ফাঁস হয়ে যায়। ক্লাস টেনের অঙ্ক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় এপ্রিল মাসে হিমাচল প্রদেশের উনা শহরে হানা দেয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় এক মহিলাসহ ৬ জনকে।

বাওয়ানার গোষ্ঠীটিতে প্রাইভেট স্কুলের দুই শিক্ষকসহ মোট তিনজন জড়িত বলে জানা যাচ্ছে। দুই শিক্ষক, ঋষভ ও রোহিত ইকনমিকসের প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে পাঠিয়ে দেয় প্রাইভেট টিউটর তৌকিরের কাছে। তৌকির পরীক্ষার একঘণ্টা আগে ছাত্রদের মধ্যে ওই প্রশ্নপত্র বিলি করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তৌকিরকে ওই প্রশ্নপত্র হোয়াটসঅ্য়াপের মাধ্যমে পাঠিয়েছিল ঋষভ ও রোহিত।

২৬ মার্চ, ইকনমিকস পরীক্ষার দিন, বাওয়ানা সেন্টারে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেএস রানাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। নজরদারিতে ঘাটতির অভিযোগে তাঁকে সাসপেন্ড করে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রকের তরফে ১ এপ্রিলেই জানানো হয়েছিল। দিল্লি পুলিশ প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করেছে। ২৭ মার্চে অর্থনীতির প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় প্রথম মামলা দায়ের করা হয়, দ্বিতীয় মামলা দায়ের হয় অঙ্কের প্রশ্নফাঁসের ঘটনায়, ২৮ মার্চে।

অঙ্ক পরীক্ষার দিন ছিল ২৮ মার্চ ও অর্থনীতির পরীক্ষা হয় ২৬ মার্চ।

২৮ মার্চে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর, সিবিএসই ২৫ এপ্রিল ফের অর্থনীতির পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে ঘোষণা করে। অঙ্কের পরীক্ষা অবশ্য আর নেওয়া হয়নি। ক্লাস টুয়েলভ ও ক্লাস টেনের বোর্ডের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় যথাক্রমে ২৬ ও ২৯ মে।

CBSE police
Advertisment