Karntaka: মায়ের সঙ্গে কাকার সম্পর্ক জেনে ফেলায় খুন হতে হলে তরুণীকে। এই ঘটনায় কর্নাটকের চিক্কাবল্লপুরা জেলায় চাঞ্চল্য। বছর ২৮-এর তরুণী পরভীনা বানুকে খুনের ধৃত তিন। তাঁদের মধ্যে নিহতের বাবা-মা এবং কাকা রয়েছেন। খুনের ঘটনায় মা গুলজার বানু এবং কাকা পেয়ারেরাজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি মেয়ের দেহ লোপাটের অভিযোগে পরভীনার বাবা ফৈয়াজও গ্রেফতার হয়েছেন। যদিও জেরায় ফৈয়াজ বলেছেন, ‘মেয়ে অন্য সম্প্রদায়ের ছেলেকে বিয়ে করেছে। তাই তাঁকে সম্মান হত্যা করা হয়েছে।‘
জেলা পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার বলেন, ‘৪ সেপ্টেম্বর হত্যা করা হয় পরভীনাকে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহতের বাবা মূক এবং পরভীনা তাঁদের প্রথম সন্তান।‘
মায়ের সঙ্গে কাকার সম্পর্কের কথা জেনে যাওয়াতেই খুন হতে হয়েছে পরভীনাকে। তাঁর কাকা পেয়ারেরঞ্জন গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করেছেন। এমনটাই প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে। যদিও এই স্ত্রীয়ের সম্পর্কের বিষয়ে ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি ফৈয়াজ। তাঁকে বলা হয়েছিল, ‘সম্মান হত্যায় এই খুন।‘ তারপরেই প্রমাণ লোপাটে পেয়ারেরঞ্জনের সঙ্গে গাড়িতে মৃতদেহ নিয়ে গিয়ে ভাতাদাহসাহাল্লির কুঁয়োয় মেয়ের দেহ ফেলে আসে বাবা। স্থানীয় থানা ৫ সেপ্টেম্বর সেই দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। যদিও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের মনে হয়েছিল পরভীনা আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু ময়না তদন্তের রিপোর্ট বদলে দেয় অনুমান।
এদিকে, ১০ বছর এক মুসলিম যুবককে বিয়ে করেন পরভীনা। কিন্তু সেই বিয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তারপরেই প্রেমিক শিবাপ্পা বিয়ে করে ধর্মান্তরিত হয়ে শিল্পা নাম গ্রহণ করেন। কিন্তু মদ্যপ শিবাপ্পা শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা যান। এরপরেই অপর এক যুবকের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন পরভীনা ওরফে শিল্পা। কিন্তু সেই যুবকের আবার পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়।
এমনটাই পুলিশকে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। নিহতের ফোন ঘেঁটেই রহস্যের সমাধান করে পুলিশ। শেষবার মা এবং কাকার সঙ্গেই ফোনে কথা বলেন ওই তরুণী। সেই সন্দেহে ওই দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হলে ভেঙে পড়েন দুই অভিযুক্ত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন