কমেছে সংক্রমণ। খুলেছে স্কুল কলেজ। অন্যান্য রাজ্যের মত মহারাষ্ট্রেও সংক্রমণ কিছুটা কমতে গত ২৪ জানুয়ারি থেকে পুনরায় স্কুল খুলেছে। তবে ছাত্র ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে এখনই পুরোদমে চালু হয়নি অফলাইন ক্লাস। সেক্ষেত্রে প্রতি ক্লাসের ছাত্র ছাত্রীদের নির্দিষ্ট বিকল্প দিনে আসতে হচ্ছে স্কুলে। কেন এমন পদক্ষেপ, একাধিক স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এবং যাবতীয় কোভিড বিধি অনুসরণ করেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এদিকে এমন পদ্ধতি পড়ুয়াদের সংকটে ফেলতে পারে এমনই অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরা। তাদের দাবী, করোনা সংক্রমণ এখন নিয়ন্ত্রণে সে কথা মাথায় রেখে স্কুলগুলিকে অফলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে প্রতিদিন। এই বিষয়ে অভিভাবকদের তরফে প্রশাসনের কাছে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে।
অভিভাবকদের তরফে গায়ত্রী সবরওয়াল বলেছেন নিষেধাজ্ঞার কারণে এতদিন অনলাইন মোডে ক্লাস চলছিল। প্রায় দু বছর পরে স্কুল পুনরায় খুললেও বাচ্চারা প্রতিদিন স্কুলে যেতে পারছে না। নির্দিষ্ট দিন অন্তর তাদের স্কুলে যেতে হচ্ছে ফলে তাদের পড়াশুনাতে অনেক বেশি ব্যাঘাত ঘটছে। রেস্তোরাঁ, বার এবং পার্ক পূর্ণ সময়ের জন্য খোলা রয়েছে, জারী রয়েছে মিটিং মিছিল তাহলে স্কুল পূর্ণ সময়ের জন্য চালু রাখতে সমস্যা কোথায়?
অপর একজন অভিভাবক, আংশু বাত্রা, বলেছেন ‘প্রায় দু বছর পরে ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলে ফিরেছে। মহামারির আতঙ্ক ভুলে স্কুলে বাচ্চারা যাতে আরও বেশি সময় যুক্ত থাকতে পারে সেই ব্যবস্থা করা জরুরি। না হলে বাচ্চাদের অভ্যাস নষ্ট হবে’।
অভিভাবকদের তরফে ১০০ শতাংশ অফলাইন ক্লাসের দাবী জানানো হয়েছে। তাঁরা মনে করছেন অনলাইন পাঠ্যক্রম শিশুদের স্কুলে যাওয়ার ইচ্ছা এবং অভ্যাস এই দুই’ই নষ্ট করেছে। অবিলম্বে অফলাইন ক্লাসের মাধ্যেম সেই অভ্যাস যাতে শিশুরা ফিরে পায় তার ব্যবস্থা স্কুলগুলিকে করতে হবে। সেই সঙ্গে অনেক অভিভাবক অভিযোগ করেছেন, এর ফলে যাতায়াতের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বাচ্চাদের। কারণ স্কুলগুলি পূর্ণ সময়ের জন্য না খুললে রাস্তায় দেখা মিলছে না স্কুলবাসের। সার্বিক ভাবে সব দিক বিবেচনা করে পূর্ণ সময়ের জন্য স্কুল খোলার দাবীতে সোচ্চার হয় অভিভাবকরা।