Parliament: অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি হয়ে গেল রাজ্যসভার অধিবেশন। সাংবিধানিক ভাষায় সময়ের একদিন আগেই ইতি টানা হল সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে। যদিও এদিন সংসদের উচ্চকক্ষ মুলতুবি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু।
তিনি সাংসদদের উদ্দেশে বলেন, ‘সম্মানীয় সদস্য শীতকালীন অধিবেশন আজকেই সমাপ্ত হল। গোটা অধিবেশনের কার্যকলাপ প্রত্যাশার অনেক নীচে ছিল। আপানার নিজেরা আত্মসমীক্ষা করুন। কীভাবে আরও ভাল করা যেত অধিবেশনের কাজ। আমি নিজে থেকে কিছুই বলতে চাই না। এতে সমস্যার তৈরি হবে।‘
যদিও এদিন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন নিয়ে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে। সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ অযোধ্যায় জমি কেনা বেচায় অনিয়ম হয়েছে। সেই প্রতিবেদন তুলে ধরে বলতে শুরু করলেই খারগেকে বাধা দেন নাইডু। তিনি বলেন, 'এই বিষয় নিয়ে বলার আগে অন্তত একটা নোটিস দেওয়ার প্রয়োজন ছিলো।'
২০১৯ সালে ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক রায়ে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তার পর থেকে রাম জন্মভূমির জমি মহার্ঘ হয়ে উঠেছে। কার্যত রিয়েল এস্টেটের ব্যবসার জায়গা হয়ে উঠেছে অযোধ্যা। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট গঠিত হয়। এখনও পর্যন্ত যা ৭০ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে।
কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ব্যক্তিগত মালিকানায় জমি কেনার ধুম পড়ে যায় অযোধ্যায়। সেই দলে বিধায়ক থেকে মেয়র, উপ জেলাশাসক, পুলিশ কর্তা, সরকারি আধিকারিকরাও রয়েছেন। বিধায়কদের আত্মীয়, আমলা এবং তাঁদের স্বজন, স্থানীয় সরকারি আধিকারিকরাও জমি কিনেছেন অযোধ্যায়। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বিধায়ক, মেয়র, ওবিসি কমিশনের সদস্য নিজেদের নামে জমি কিনে আত্মীয়দের দিয়েছেন। এমন ১৪টি কেস সামনে এসেছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তদন্তে। দেখা গিয়েছে, শীর্ষ আদালতের রায়ের পর আধিকারিকদের পরিবারের সদস্যরা প্রস্তাবিত রাম মন্দির নির্মাণের ৫ কিমির মধ্যে একের পর এক জমি কিনেছেন।
স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠেছে মহর্ষি রামায়ণ বিদ্যাপীঠ ট্রাস্টের বিরুদ্ধে। কারণ, পাঁচটি কেসের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, জমির বিক্রেতা এই ট্রাস্ট। দলিত গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জমি কিনেছেন ওই সরকারি আধিকারিকরা, তার পর তা আত্মীয়দের দিয়ে দিয়েছেন। অযোধ্যায় জমির রেকর্ড, প্লটে গিয়ে খতিয়ে দেখে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তদন্ত করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন