রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর সোমবার 'মোশন অব থ্যাঙ্কস' বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরাসরি দুষলেন বিরোধীদের। রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের ভাষণ বয়কট থেকে কিষাণ নিধি ডেরেক ও ব্রায়েনকে নিশানা করে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন মোদী। কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিরোধীদের অবস্থানের সমালোচনাও শোনা গেল তাঁর মুখে।
কিছুদিন আগেই নোটবন্দি, জিএসটি, কৃষক আন্দোলন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় হস্তক্ষেপের মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রাজ্যসভায় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। ট্রাম্পের হয়ে মোদীর প্রচার 'হাউডি মোদী' ক্যাম্পেনের কথা টেনে আনেন। সেই সব প্রসঙ্গ টেনে পাল্টা মোদী এদিন বলেন, "আমি ডেরেকজির কথা শুনলেন। অনেক বড় বড় শব্দের প্রয়োগ করছিলেন। বাক স্বাধীনতা, ভয় দেখানো ইত্যাদি।আমার তখন মনে হল উনি বাংলার কথা বলছেন না দেশের কথা বলছেন? সারাক্ষণ তো এসবই দেখে চলেছেন তাই হয়ত ভুল করে এখানেই বলে ফেলেছেন।"
আরও পড়ুন, ‘বিরোধিতা করুন, কিন্তু দেশকে অসম্মান করে নয়’, কড়া বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
পাশাপাশি বিরোধী কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী এবং প্রতাপ সিং বাজওয়াকেও কটাক্ষ করেন মোদী। প্রতাপ সিং বাজওয়াকে নিশানা করে মোদী বলেন, "কংগ্রেসের তরফে বাজওয়া সাব অনেক কথা বললেন। দীর্ঘ ভাষণ রাখলেন। আমরা তো শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল আরেকটু হলেই উনি জরুরিঅবস্থা নিয়ে আসার কথাও বলে দেবেন। কংগ্রেস অনেকবার নিরাশ করেছে। আপনি আর করবেন না।" কিষান নিধি প্রকল্পের কথা তুলেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেন মোদী। বলেন,'বাংলায় রাজনীতি না হলে ওখানকার কৃষকেরাও এই সুবিধা পেতেন।'
আরও পড়ুন, ফের কৃষি আইনের পক্ষেই সওয়াল মোদীর, কিষাণ নিধি নিয়ে দুষলেন বঙ্গ রাজনীতিকে
এমনকী যে নেতাজির জন্মজয়ন্তী নিয়ে বাংলা রাজনীতিতে নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে, পরোক্ষভাবে মোদীর মন্তব্যে সেই সুরও ছিল। তিনি এদিনে বলেন, “এটা নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। তাঁর আদর্শ ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া আমাদের কর্তব্য। অথচ তাঁকে আমরা ভুলে গিয়েছি।” এছাড়াও, তিনি বলেন, "যারা সাংসদ রয়েছেন এখানে তাঁরা নিজেদের মত করে বিচার করতেই পারেন এবং করেছেন। আমি সকল সাংসদদের আমার অভিবাদন জানাচ্ছি। কিন্তু সাংসদরা রাষ্ট্রপতির ভাষণ না শুনেই প্রতিবাদ করছেন। ভাষণ বয়কট করেছেন। তা না করলে সংসদের গরিমা আরও বৃদ্ধি পেত। রাষ্ট্রপতির ভাষণের গুরুত্ব এতটাই ছিল। আলাদা করে আর শোনার প্রয়োজন ছিল না।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন