New Update
রাষ্ট্রপতির ভাষণের প্রেক্ষিতে রাজ্যসভায় 'মোশন অফ থ্যাংকস' ও বিরোধীদের জবাব দিতে উঠে সোমবার সংসদ অধিবেশনে ভাষণ দিতে উঠে কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কৃষক আন্দোলন থেকে করোনা টিকাকরণ ও রাষ্ট্রপতির ভাষণ সংশোধনের মত বিষয় নিয়ে বিরোধীদের সাফ জানিয়ে দেন, "রাষ্ট্রপতির ভাষণ না শুনেই প্রতিবাদ করছেন। ভাষণ বয়কট করেছেন। তা না করলে সংসদের গরিমা আরও বৃদ্ধি পেত।" পাশাপাশি কৃষি আইনের প্রেক্ষাপটে মোদী এও জানিয়ে দেন বিরোধীদের যে, বিরোধিতা করুন, কিন্তু এমন কিছু করবেন না যা দেশের সম্মান ভূলুন্ঠিত করে।
Advertisment
সোমবার সংসদে ঠিক কী কী বললেন মোদী, দেখে নেওয়া যাক এক নজরে-
- রাষ্ট্রপতি যে ভাষণ দিয়েছিল তা নতুন ভারত গড়ার ও আগামী দিনে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তাবহ ছিল। আত্মনর্ভর ভারতকে পথ দেখানো এবং এই দশককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন রাষ্ট্রপতি। তাঁকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য আজ আমি এখানে এসেছি।
- যারা সাংসদ রয়েছেন এখানে তাঁরা নিজেদের মত করে বিচার করতেই পারেন এবং করেছেন। আমি সকল সাংসদদের আমার অভিবাদন জানাচ্ছি। কিন্তু সাংসদরা রাষ্ট্রপতির ভাষণ না শুনেই প্রতিবাদ করছেন। ভাষণ বয়কট করেছেন। তা না করলে সংসদের গরিমা আরও বৃদ্ধি পেত। রাষ্ট্রপতির ভাষণের গুরুত্ব এতটাই ছিল। আলাদা করে আর শোনার প্রয়োজন ছিল না। অনেক কিছু বলে দিয়েছেন। এতটাই আদর্শ ও সমৃদ্ধ ছিল সেই ভাষণ, না শুনেও মনের মধ্যে প্রবেশ করেছে সেই কথা।
- আজ ভারত সত্যি অর্থে অনেক স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলতে চাইছে। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে প্রবেশ করছি আমরা। এই বছর আমাদের প্রেরণার বছর। দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাব ২০৪৭ সালের মধ্যে। সেই স্বপ্ন এখন থেকেই দেখতে হবে। এখন পুরো বিশ্বের নজর ভারতে। সবাই জানে ভারত কোনও কাজ করলে বিশ্বের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
- করোনার মধ্যে ভয়ানক পরিস্থিতিতে ছিলাম। কোনও দেশ, কোনও রাজ্য, এক পরিবার কেউ একে অপরকে সাহায্য করতে পারছিল না। ভারতকে নিয়ে বিশ্ব চিন্তিত ছিল। কোটি কোটি মানুষকে নিয়ে চিন্তা ছিল আমাদেরও। কিন্তু ভারত দেশের নাগরিককে একটি অজানা শত্রুর হাত থেকে সঠিকভাবে বাঁচাতে সম্ভব হয়েছে। সেই সময় যা বুদ্ধি-শক্তি-সামর্থ ছিল, তা দিয়েই মোকাবিলা করা হয়েছে। বিশ্ব এখনও দেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এটার জন্য কোনও সরকারই আলাদা করে বাহবা নিতে পারে না। লড়াই সবাই করেছে। কোনও ব্যক্তি নয়।
- একসময় পোলিও ভ্যাকসিন নিয়ে কী চিন্তাই না ছিল ভারতে। বিশ্ব পর্যন্ত উদ্বেগে ছিল। অথচ সেই ভারত, যাকে তৃতীয় বিশ্বের দেশ বলা হয়, তারাই কিন্তু মানবজাতির কল্যাণের জন্য ভ্যাকসিন নিয়ে এসেছে। দেশের বিজ্ঞানী-গবেষকদের নিয়ে আমরা গর্বিত। আর এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় করোনা টিকাকরণ এই দেশেই হচ্ছে। আমরা বিশ্বের একাধিক দেশকে ভ্যাকসিন দিয়েছি।
- আমি রাজ্যগুলিকেও করোনা লড়াইয়ে রাজ্যগুলিকেও অভিনন্দন জানাচ্ছি। যেভাবে গণতন্ত্র বজায় রেখে কেন্দ্র-রাজ্য একসঙ্গে কাজ করেছে তা তাৎপর্যপূর্ণ।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন