সংসদে বড় ধরণের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা সামনে আসতেই হুলস্থূল পড়ে যায়। গোটা ঘটনার যথাযথ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে লোকসভার তরফে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে ‘ক্যানিস্টার’ থেকে নির্গত ধোঁয়া “নিরাপদ” এবং “চিন্তার কোন কারণ নেই”। এমনটাই জানিয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত অভিযুক্ত পঞ্চম ব্যক্তিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে, অভিযুক্তরা কী জানিয়েছে?
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় পঞ্চম সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি, এমন এক দিনে ঘটে, ২০০১ সালের সেই দিনেই সংসদ ভবনে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এই দিনই ছিল সংসদে হামলার ২২ তম বার্ষিকী। গোটা ঘটনায় মোট ৬ জন যুক্ত ছিলেন। এমনটাই জানানো হয়েছে দিল্লি পুলিশের তরফে।
সূত্রের খবর, আটক চারজন ছাড়াও আরও দু'জন এই পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত ছিল। পাঁচজনকে শনাক্ত ও ধরা পড়লেও ষষ্ঠজন এখনও পলাতক। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল, গোটা ঘটনার তদন্ত করছে। অনুপ্রবেশ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, বাধা, দাঙ্গার উদ্দেশ্যে উস্কানি এবং কঠোর বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (ইউএপিএ) সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।
জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা জানায় যে তারা সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় 'ভগত সিং ফ্যান ক্লাব'-এর সঙ্গে যুক্ত ছিল। তারা প্রায় দেড় বছর আগে মাইসুরুতে দেখা করেছিলেন এবং পরে তাদের পরিকল্পনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সিআরপিএফ ডিজি অনীশ দয়াল সিংয়ের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে যাতে নিরাপত্তার ত্রুটির তদন্ত করা হয় এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা রোধ করার জন্য ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়।
একজন অনুপ্রবেশকারীর ব্যবহৃত ভিজিটর পাসটি বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমার নামে ইস্যু করা হয়েছিল। সিমা পরে ব্যাখ্যা করেছিলেন যে অভিযুক্তের বাবার অনুরোধের পরে তিনি পাসটি জারি করেছিলেন।
বিরোধী নেতারা সাংসদ প্রতাপ সিমহাকে বহিষ্কারের দাবি করেছেন এবং সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের জন্য তাকে দায়ি করেছেন। কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, এই ঘটনা প্রমাণ করে আমাদের যতটা সতর্ক হওয়া উচিত ছিল, আমরা ততটা সতর্ক ছিলাম না? আমাদের সাংসদরা অনুপ্রবেশকারীদের ধরেছে… নিরাপত্তাকর্মীরা কোথায় ছিল সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
লোকসভার নিরাপত্তার গাফিলতি প্রসঙ্গে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ডিম্পল যাদব বলেন, ‘এটি নিরাপত্তা ব্যবস্থার সম্পুর্ণ ত্রুটি। আজ হাউসের ভেতরে যে কোন কিছুই ঘটতে পারত… এখানে যারাই আসেন – তারা দর্শক হোক বা সাংবাদিক, কারও কোন ট্যাগ নেই! সরকারকে এ দিকে নজর দেওয়া উচিত’।