বিরোধীদের হট্টগোলের জন্য দিনের মতো মুলতুবি রাজ্যসভা। এদিন সংসদের উচ্চকক্ষে অধিবেশন শুরু হতেই কৃষি আইনে আলোচনা দাবি করে বিরোধীরা। সরকারপক্ষের তরফে সেই দাবি খারিজ হলে হট্টগোল শুরু করে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে, বাম দলগুলো। সংসদের ২৬৭ ধারায় কৃষি আইনে আলোচনার জন্য প্রস্তাব পাঠান বিরোধীরা। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু সেই প্রস্তাব খারিজ করলে প্রতিবাদ উচ্চকক্ষ থেকে ওয়াক আউট করেন বিরোধী দলের সাংসদরা।
এভাবে দফায় দফায় অধিবেশন ব্যাহত হলে আগামিকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত মুলতুবি হয় অধিবেশন।
এদিন রাজ্যসভা শুরু হলেও, চেয়ারম্যান বলেন, 'আমি ২৬৭ ধারায় কৃষি আইনে আলোচনা চেয়ে প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সেই আলোচনা পরবর্তী সময়ে তোলা যেতে পারে। এটি যেহেতু বাজেট বক্তৃতার ওপর আলোচনা তাই এই প্রস্তাব খারিজ করা হল।'
এদিকে, দিল্লিমুখী কৃষকদের আটকাতে মরিয়া কেন্দ্র। হরিয়ানা-দিল্লির টিকরি সীমান্তে রাতারাতি রাস্তার উপর ঢালাই করে ২ হাজার ধারালো পেরেক বসানো হল। রোহতক রোডের ধারে এই পেরেক দিয়ে কৃষকদের ট্রাক্টর আটকাতে চাইছে পুলিশ-প্রশাসন। হরিয়ানার দিক আসা কৃষকদের সমস্যায় ফেলতে এই পন্থা নিয়েছে প্রশাসন। যার জেরে দেশজুড়ো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ভাইরাল হয়ে গিয়েছে রাস্তার উপর পেরেকের ছবি।
টিকরি সীমান্তকে কার্যত দুর্গে পরিণত করেছে পুলিশ। কাঁটাতার দিয়ে ব্যারিকেড করে তারপর সিমেন্টের ব্লক বসানো হয়েছে। যাতে আন্দোলনকারীরা কোনওভাবে সেটা পেরিয়ে না যেতে পারেন। আন্তর্জাতিক সীমান্তের কায়দায় কাঁটাতার বসানো হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় তাণ্ডবের পর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে পুলিশ। কোনওভাবেই কৃষকদের এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ কেন্দ্র। কাঁটাতার, সিমেন্ট বোল্ডার, পেরেক দিয়ে রাস্তা মুড়ে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে কৃষকদের জন্য।