একক্লিকেই এবার থেকে সংসদের ভিতর বিরোধের মাঝে ‘হালকা মুহূর্তগুলি’ ভেসে উঠবে আপনার সামনে। যদিও সংসদের ভিতর হালকা মুহূর্তগুলি সর্বদা হাউস রেকর্ডে বন্দী করা হয়ে থাকে, তবে এই প্রথম মাউসের ক্লিকে সেগুলি সাধারণ মানুষের কাছে অ্যাক্সেসযোগ্য করা হচ্ছে৷
প্রতিটি কার্যদিবসের শেষে, সংসদের কর্মকর্তারা দিনের কার্যধারার টিভি ফুটেজের মধ্য থেকে সাংসদদের মধ্যে হাস্যকর এবং ব্যঙ্গাত্মক মুহুর্তগুলিকে ডিজিটাল সংসদের 'উইট অ্যান্ড হিউমার' বিভাগে আপলোড করে থাকেন। নতুন সংসদের ওয়েবসাইট চলতি বছরের এপ্রিলে চালু হয়। সানডে এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলার সময় লোকসভা সচিবালয়ের প্রাক্তন পরিচালক কে শ্রীনিবাসন বলেছেন, 'বুদ্ধি এবং হাস্যরস সবসময়ই ভারতে সংসদীয় বিতর্কের অংশ'। যেহেতু তিনি ১৯৮৩ থেকে ২০২০ টাকা ১৭ বছর ধরে প্রতিদিন এই ধরনের তথ্যসূত্র সংকলন করতেন। তিনি অনুভব করেছিলেন ব্যঙ্গাত্মক রসবোধ সংসদে বিতর্কের একটা অংশ।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, 'যদিও এগুলি সাধারণ মানুষের কাছে অ্যাক্সেসযোগ্য ছিল না। ২০০৪ সাল থেকে রেকর্ড করা এই ধরনের মুহূর্তগুলি এখন নতুন ওয়েবসাইটে জনসাধারণের জন্য উপলব্ধ'। ‘২০০৪ সালের আগের এই ধরণের 'হালকা মুহুর্তগুলি' যদিও সংসদের লাইব্রেরিতে উপলব্ধ। আমরা নতুন ওয়েবসাইটে এই ধরণের সমস্ত বিষয় আপলোড করার কাজ করছি’, জানিয়েছেন সংসদের এক কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, “ওয়েবসাইটটিতে এখনও কাজ চলছে। ১১ অগাস্ট সংসদের বাদল অধিবেশন শেষে মজাদার এবং হাস্যকর সকল উপাদান আপলোডের কাজ শেষ হবে”।
সেখানে মিলবে প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে লক্ষ্য করে RJD প্রধান লালু প্রসাদের কটাক্ষ থেকে সাম্প্রতিক সময়ে ১৯ জুন, ২০১৯ নবনির্বাচিত লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে অভিনন্দন জানানোর সময়, আটওয়ালের আবৃত্তি। সঙ্গে বিরোধীদল নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর হাস্যরসবোধও স্থান পেতে চলেছে ওয়েব সাইটে। '১৭ তম লোকসভার সেই বিশেষ অধিবেশনটি সমস্ত অধিবেশনের মধ্যে সবচেয়ে মজার হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছিল জানিয়েছেন’, শ্রীনিবাসন।