গত সেপ্টেম্বরে জারি হয়েছিল অর্ডিন্যান্স। সোমবার লোকসভায় তিন তালাক নিয়ে নয়া বিল পেশ করা হল। এই বিল অনুযায়ী তাৎক্ষণিক তিন তালাক শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অপরাধের শাস্তি হিসেবে তিন বছরের কারাদণ্ড হবে স্বামীর।
লোকসভায় আগেই পাশ হয়েছিল তিন তালাক বিল। আটকে যায় রাজ্যসভায়। বিলের কিছু অংশ নিয়ে আপত্তি তোলে বিরোধী দল। তাঁদের যুক্তি, কারাদণ্ড হলে খোরপোশ দেওয়া সম্ভব না। জামিনের বিকল্প নিয়েও মতবিরোধ দেখা যায় রাজ্যসভায়। বেশ কিছু সংশোধনের পরেও রাজ্যসভায় অনুমোদিত হয়নি সেই বিল। সেই পরিস্থিতিতে অর্ডিন্যান্স জারি করে কেন্দ্র। এবার বিলের জায়গায় নতুন করে আসতে চলেছে 'মুসলিম মহিলা সুরক্ষা এবং বিবাহের অধিকার আইন, ২০১৮।
আরও পড়ুন, সুপ্রিম কোর্টের রাফাল রায় নিয়ে এবার প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের
অর্ডিন্যান্সের সর্বোচ্চ আয়ু ৬ মাস। সংসদীয় অধিবেশন শুরু হওয়ার ৪২ দিনের মধ্যে উভয় কক্ষে বিল পাশ করাতে হয়।
সংসদে বিল পেশ করে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, "তিন তালাক প্রথাকে সুপ্রিম কোর্ট অসাংবিধানিক রায় দেওয়ার পরেও মুসলিম স্বামীরা খুব তুচ্ছ কারণে হোয়াটসআপেও তালাক দিচ্ছেন স্ত্রীকে, তাই এই নয়া বিল পেশ করা হচ্ছে"। কেন্দ্রের বিরোধিতা করে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বলেছেন, "এই পদ্ধতিতে নাগরিক আইন এবং ফৌজদারি আইনকে মিশিয়ে ফেলা হচ্ছে। আর যে প্রথা আর প্রযোজ্য নয়, তাকেই আরও একবার অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে"। থারুর আরও বলেন, ধর্মের নামে আইনের ক্ষেত্রেও শ্রেণিভিত্তিক বিভাজন আনার চেষ্টা চলছে"।
Read the full story in English