এবার পূর্ব লাদাখ অঞ্চলের গালওয়ান উপত্যকা এবং পানগং লেক পরিদর্শন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। প্রবীণ বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জুয়াল ওরামের সভাপতিত্বে ৩০ সদস্যের কমিটি মে মাসের শেষ সপ্তাহে বা জুনে পূর্ব লাদাখ অঞ্চল পরিদর্শন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে রয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও। জানা যাচ্ছে, প্যানেলের সর্বশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে সেদিন ওই বৈঠকে রাহুল উপস্থিত ছিলেন না। সূত্র জানাচ্ছে, সরকারের অনুমোদন পেলেই প্যানেল এলএসি সফরে যেতে পারবে।
পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেক সংলগ্ন এলাকা থেকে সেনা সরানো নিয়ে চিনের সঙ্গে ভারতীয় সেনার সমঝোতা হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সংসদে রাজনাথ আরও জানান, প্যাংগং লেকের উত্তর প্রান্তে ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত বাহিনী রেখে দেবে চিন। অন্যদিকে, ফিঙ্গার ৩ পর্যন্ত ভারতীয় সেনা মোতায়েন থাকব । মধ্যবর্তী অংশে কেউই টহল দিতে পারবে না। এছাড়াও ২০২০ এপ্রিল থেকে লেকের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে উভয় পক্ষ যেসব কাঠামো নির্মাণ করেছে তা সরিয়ে পূর্বের আবস্থা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
মন্ত্রকের এই বিবৃতি নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। তাঁর অভিযোগ, সরকার দেশের ভূখণ্ড চিনের হাতে তুলে দিয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল বলেছেন, 'প্রতিরক্ষামন্ত্রী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অঞ্চল দেপসাং সমভূমি - যেখান দিয়ে চিনা সেনারা প্রবেশ করেছে সেই সম্পর্কে একটি শব্দও উল্লেখ করেনি। বাস্তব হল যে প্রধানমন্ত্রী ভারতের অঞ্চলটি চিনের হাতে তুলে দিয়েছেন। তাঁকে অবশ্যই দেশকে জবাব দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এমন কাপুরুষ যে চিনাদের সামনে দাঁড়াতে পারেন না। তিনি আমাদের সেনাবাহিনীর ত্যাগের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করছেন। কোনও ভারতীয় এ ধরণের বিষয় বরদাস্ত করবেন না।'
কংগ্রেস সাংসদের তোপের পরই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, ভারতীয় ভূখণ্ডের কোনও অঞ্চলই চিনের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। পূর্ব লাদাখের প্যাগং থেকে লাল ফৌজ সরছে। এছাড়াদেপসাং, গোদরা সংক্রান্ত বিরোধ আলোচনার মাধ্যমে মেটানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ফিঙ্গার অঞ্চলে ভারতীয় সেনার উপস্থিতি সংক্রান্ত রাহুলের দাবিকেও 'ভুয়ো' বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সেনা সরে যাওয়ার ৪৮ ঘন্টা পর দুই দেশের সেনা বাকি সমস্যা নিয়ে অলোচনায় বলবে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন