শুক্রবার বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটল দিল্লি-কানপুর নীলাচল এক্সপ্রেসে। একজন যাত্রী কোচের কাচের জানালা ভেঙে ঢুকে আসা লোহার রডে বিদ্ধ হয়ে মারা গেলেন। তাঁর ঘাড়ে লোহার রড ঢুকে গিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন রেলের এক আধিকারিক। তিনি জানিয়েছেন, উত্তর সেন্ট্রাল রেলের প্রয়াগরাজ ডিভিশনের দানওয়ার ও সোমনারের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। সকাল ৮টা ৪৫ নাগাদ ঘটেছে দুর্ঘটনাটি। এমনটাই জানিয়েছেন রেলের মুখপাত্র।
এই ব্যাপারে রেলের ওই মুখপাত্র বলেন, 'এক সাধারণ কোচের বাইরের লোহার রড ওই কোচের মধ্যে ঢুকে পড়ে। ঘটনার সময় ওই ব্যক্তি জানালার ধারেই বসেছিলেন। জানালার কাচ নামানো ছিল। ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি জানালার পাশ থেকে সরেও যেতে পারেননি। ঘটনাস্থলে ওই যাত্রীর মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনায় রেলের জানালাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনার পর ওই ট্রেন সকাল ৯টা ২৩ পর্যন্ত আলিগড় স্টেশনেই দাঁড়ানো ছিল। পরে পুলিশ দেহটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর ফের ট্রেনটি চলা শুরু করে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত যাত্রীর নাম জানা গিয়েছে। তিনি হলেন হৃষীকেশ দুবে। লোহার রড তাঁর গলা ফুঁড়ে ঢুকে গিয়েছে। কেন প্ল্যাটফর্মে লোহার রড নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? সেই ব্যাপারে রেলের কর্তারা কিছুই জানাননি। তবে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় পাশের এক রেলপথে কাজ চলছিল। সেই জন্যই লোহার রড নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখনই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
আরও পড়ুন- পেনশন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে উদ্বিগ্ন ইপিএফ ফেডারেশন, কিন্তু কেন?
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহটি জিআরপির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। মৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকেদের ঘটনার খবর দেওয়া হয়েছে। নিয়মমাফিক মৃতের পরিবার এই দুর্ঘটনার জেরে রেলের থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাবে। ঘটনার জেরে রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। পাশাপাশি, দুর্ঘটনায় মৃত্যুর অভিযোগও দায়ের হয়েছে। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে একাধিক রেলকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেই সূত্রের খবর।
Read full story in English