শুক্রবার কাজাখস্তানের আলমাতি শহরে ৯৫ জন প্যাসেঞ্জার এবং ৫ জন ক্রিউ সদস্য নিয়ে ভেঙে পড়ল একটি যাত্রীবাহী বিমান। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন, উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে ৩৫ জনকে, জানিয়েছেন সেন্ট্রাল এশিয়ান কান্ট্রির আধিকারিকেরা। কাজাখস্তানের অসামরিক বিমান পরিবহন কমিটির তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে দ্য ফকের ১০০ বিমানটি রাজধানীর নূর সুলতানের পথে যাত্রা করেছিল এবং টেকঅফের পরেই দিকভ্রান্ত হয় বিমানটি। এরপরটি কংক্রিটের ফেঞ্চে গিয়ে সরাসরি ধাক্কা মারে। এরপর গতি হারিয়ে ধাক্কা মারে একটি দ্বিতল বিল্ডিংয়ে।
আরও পড়ুন: বাড়তে চলেছে ট্রেনের যাত্রী ভাড়া, ইঙ্গিত রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানের
আপতকালীন (এমারজেন্সি) কমিটির বিবৃতি অনুসারে এখনও পর্যন্ত ১৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সেখানকার সরকার এবং আলমাতি এয়ারপোর্টের তরফে বলা হয়েছে এমারজেন্সি সার্ভিস এখনও ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের রিপোর্টে বলা হয়েছে উড়ানের সময় ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল বিমানবন্দর চত্বর। ফেসবুক পেজে একটি বিবৃতি দিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলেন, বিমানটি ভেঙে পড়লেও কোনও আগুন জ্বলেনি এবং বিমানটি ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকাজ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা দম্পতিকে ভারত থেকে বিতাড়িত করা যাবে না, স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের
মিডিয়ায় প্রকাশিত ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে বিমানটিতে বড় একটি ফাটল রয়েছে। বাড়িতে ধাক্কায় মারার ফলে গোটা বিমানটি ভেঙে পড়ে যায়। কাজাকিস্তানের বেক এয়ার সংস্থাটির ফকের ১০০ বিমানের কেউই এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
এই ঘটনায় মর্মাহত কাজাখস্তানের রাষ্ট্রপতি কাসেম জোমার্ত তোকায়েভ টুইট করে বলেন, "দোষীদের আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।"
Read the story in English