কলকাতা মেডিক্যালে অগ্নিকান্ডে প্রাণ গেল রোগীর? এ প্রশ্ন ঘিরেই শুরু হয়েছে চাপানউতোর। অগ্নিকাণ্ডের সময় হুড়োহুড়িতে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খানাকুলের বাসিন্দা বছর পঁচাত্তরের শইদুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ ঘিরেই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
অগ্নিকাণ্ডের সময় হুড়োহুড়িতেই শইদুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁর পরিজনরা। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল দশটা নাগাদ ওই রোগীকে হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। হাই সুগার এবং শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে ওই রোগীকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়।
শইদুলের পরিবারের অভিযোগ, অগ্নিকাণ্ডের সময় রোগীদের অন্যত্র সরানোর সময়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তারপর ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে কলকাতা মেডিক্যালের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, "উনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। অসুস্থতার জন্যই মৃত্যু হয়েছে। এর সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের কোনও যোগ নেই।"
এ ঘটনা প্রসঙ্গে লালবাজার সূত্রে জানানো হয়েছে, "ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছেন, হুড়োহুড়ির জেরে মৃত্যু হয়েছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে।" কলকাতা পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, "এখনও রোগীর পরিবারের তরফে এ নিয়ে কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
অন্যদিকে, এদিন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় আড়াইশো রোগীকে নিরাপদেই সরানো হয়েছে বলে কলকাতা মেডিক্যালে পরিদর্শনে এসে জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।