লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে হত্যার ঘটনায় আফতাব পুনাওয়ালা তিহার জেলে বন্দী থাকা অবস্থায় আমেরিকান ঔপন্যাসিক পল থেরাক্সের কিছু বই পড়ার আবদার করেন। তার ইচ্ছানুযায়ী তাকে পল থেরাক্সের দ্য গ্রেট রেলওয়ে বাজার নামে একটি বই পড়ার জন্য দেয় তিহার জেল কর্তৃপক্ষ। আফতাব লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে হত্যা এবং তার দেহকে ৩০ টিরও বেশি টুকরো টুকরো করার অভিযোগে অভিযুক্ত। আপাতত আফতাবের ঠিকানা তিহার জেল। জেল সূত্রে খবর আফতাব তিহার জেলের আধিকারিকদের কাছে ইংরেজি উপন্যাস এবং কিছু অন্যান্য বই চেয়েছেন পড়ার জন্য।
তিহারের কর্মকর্তারা বলেছেন ২৮ বছর বয়সী আফতাবকে এই সপ্তাহে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠানোর পর থেকে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে, যেহেতু সে একটি হাই-প্রোফাইল হত্যা মামলায় জড়িত। তিহার জেলের মুখপাত্র এদিন বলেন, “আমরা প্রটোকল অনুযায়ী বন্দীদের দেখভাল করি। আফতাব এখন ইংরেজি উপন্যাস ও অন্যান্য বই পড়ার জন্য চেয়েছেন। আপাতত, আমরা তাকে (আমেরিকান ঔপন্যাসিক) পল থেরাক্সের দ্য গ্রেট রেলওয়ে বাজার নামে একটি বই পড়ার জন্য দিয়েছি। আমাদের লাইব্রেরি থেকে এই বই দেওয়া হয়েছে। পড়তে চাইলে পরে আফতাবকে আরও বই দেওয়া হবে,”।
আরও পড়ুন: < নৌসেনা দিবসের আগেই চিনকে কড়া হুঁশিয়ারি, গতিবিধির ওপর নজর >
গত সপ্তাহে, ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাব এবং বাবা সাহেব আম্বেদকর হাসপাতালে পুনাওয়ালার একটি পলিগ্রাফ পরীক্ষা এবং নারকো টেস্ট হয়। তবে, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে তারা তার পরীক্ষায় পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন।
এবিষয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের নথি অনুযায়ী, আফতাব পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় যে উত্তরগুলো দিয়েছিলেন সেই একই উত্তর তিনি বারবার দিচ্ছেন…পুলিশ স্বাধীনভাবে তদন্ত চালাচ্ছে,” এদিকে দিল্লি পুলিশ তার মানসিক স্বাস্থ্য মূল্যায়নের জন্য অপর এক মনোবিজ্ঞানীর কাছ থেকে দ্বিতীয় মতামত নেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
এবিষয়ে দিল্লি পুলিশের এক কর্তা বলেন, “এফএসএল মনোবিজ্ঞানী এবং ডাক্তাররা ইতিমধ্যেই তাকে পরীক্ষা করেছেন তবে আমাদের দ্বিতীয় মতামত দরকার,”। পুলিশ জানিয়েছেন পুনাওয়ালা দাবি করেছেন যে মে মাসে ছাত্তারপুর পাহাড়ি এলাকায় তাদের ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্টে রাগের মাথায় শ্রদ্ধাকে হত্যা করেছিলেন। তারপরে তিনি মৃতদেহটিকে একাধিক ছোট ছোট টুকরো টুকরো করে কেটে পরবর্তী কয়েক মাসের মধ্যে কাছাকাছি একটি জঙ্গলে ফেলে দেন। নভেম্বরে দিল্লি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে, বর্তমানে সে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে।