Advertisment

পায়েল তড়ভি আত্মহত্যা মামলায় চার্জশিট দাখিল মুম্বই পুলিশের

পায়েলের ফোন থেকে উদ্ধার করা তিন পৃষ্ঠার সুইসাইড নোটের কপিও পুলিশ দাখিল করতে চলেছে। এই বিবৃতির ছবি পায়েল তুলেছিলেন ঘটনার দিন সন্ধে ৫ টা ০৪ মিনিটে। তার কয়েক মিনিট আগেই অভিযুক্ত হেমা আহুজা পায়েলকে ফোন করেছিলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Payal Tadvi, Payal Tadvi Suicide

এক্সপ্রেস ফাইল ছবি (প্রশান্ত নাডকার)

জুনিয়র ডাক্তার পায়েল তড়ভিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও তাঁর উদ্দেশে জাতি-ভিত্তিক বৈষম্যমূলক মন্তব্যের অভিযোগে মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ তিনজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ১২০৩ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করল।
চার্জশিটে যে তিনজন চিকিৎসকের নাম রয়েছে, তাঁরা হলেন হেমা আহুজা, ভক্তি মেহরে এবং অঙ্কিতা খাণ্ডেলওয়াল। পুলিশের অভিযোগ এঁরা তফশিলি জাতি ও উপজাতি (নিষ্ঠুরতা প্রতিষেধক) আইন, মহারাষ্ট্র র‍্যাগিং প্রতিষেধক আইন, তথ্যপ্রযুক্তি আইন, এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা, প্রমাণ লোপাটে অভিযুক্ত।
অভিযোগ প্রমাণের উদ্দেশ্যে পুলিশ ১৮০ জনের বয়ান ও পায়েলের মোবাইল ফোন থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটও দাখিল করেছে পুলিশ।
চার্জশিটের সঙ্গে রয়েছে পায়েলের সহকর্মীদের, হাসপাতালের অন্য কর্মী ও সিনিয়রদের বয়ানও। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পায়েলের বন্ধ স্নেহালের, যিনি পুলিশকে বলেছেন অভিযুক্তরা পায়েলকে তফশিলি উপজাতিভুক্ত হওয়ায় সে নিয়ে হেনস্থা করত।

Advertisment

এ ছাড়া আত্মহত্যার দিন হাসপাতালের অন্য কর্মী ও রোগীদের উপস্থিতিতে পায়েলের চিৎকার করার ঘটনার সাক্ষীদের বিবৃতিও সাক্ষ্যপ্রমাণের মধ্যে রাখা হয়েছে।
পায়েলের ফোন থেকে উদ্ধার করা তিন পৃষ্ঠার সুইসাইড নোটের কপিও পুলিশ দাখিল করতে চলেছে। এই বিবৃতির ছবি পায়েল তুলেছিলেন ঘটনার দিন সন্ধে ৫ টা ০৪ মিনিটে। তার কয়েক মিনিট আগেই অভিযুক্ত হেমা আহুজা পায়েলকে ফোন করেছিলেন। আহুজার ফোন এসেছিল ৪টে ৫১ মিনিটে। সে ফোনালাপ ছিল ১২১ সেকেন্ডের।
আটতলার করিডোরের সিসিটিভি ফুটেজও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হয়ে উঠতে চলেছে। এখানে দেখা যাচ্ছে পায়েলকে ট্রমা রুমে নিয়ে যাওয়ার পর সে ঘরে প্রবেশ করছেন অভিযুক্ত তিনজন। ২৪ দুন এই তিনজনের জামিনে আবেদন খারিজ হয়ে গেছে। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন অভিযুক্তরা।
ত ২২ মে রাত ৯টা নাগাদ পায়েলকে মুম্বই সেন্ট্রালের বিওয়াইএল নায়ার জেনারেল হাসপাতালের নিজের হস্টেলের ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলতে দেখা যায়।
শুরুতে দুর্ঘটনা হিসেবে মামলা দায়ের করলেও আগরিপাড়া পুলিশ পরের দিন পায়েলের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। তিনজন অভিযুক্তকেই ২৮-২৯ মে গ্রেফতার করা হয়। এফআইআর দায়ের হওয়ার পর থেকেই তাঁরা পলাতক ছিলেন।
Read the Story in English

Advertisment