পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি বজায় রাখলে প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ মধ্যএশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপণ করতে পারবে ভারত। এতে ভারতের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটবে। এমনটাই মনে করেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান কান। সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধের দায় প্রতিবেশী পাকিস্তানের উপরই ছেড়েছে নয়াদিল্লি। তারপরই শান্তি রক্ষায় ইমরানের তরফে ভারতকে এই বার্তা বলে মনে করা হচ্ছে।
নিরাপত্তা বিষয়ক দু'দিনের এক সম্মেলনে ইসলামাবাদে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'ভারতকে এখন ঘুরপথে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে হচ্ছে। কিন্তু ওরা (ভারত) শান্তি বজায় রাখলে সরাসরি তা সম্ভব।' ফলে কমবে জ্বালানীর খরচ, সময়ও কম লাগবে। যার দরুন ভারত অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে পারবে বলে মনে করেন ইমরান খান।
যদিও ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উন্নতিতে কাশ্মীর সমস্যাই প্রধান অন্তরায় বলে জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। কাশ্মীরিদের অধিকার রাষ্ট্রসংঘের রেজোলিউশন অনুযায়ী ভারতের দেওয়া উচিত বলে জানান ইমরান। এ প্রসঙ্গে ইমরান বলেছেন, 'রাষ্ট্রসংঘের রেজোলিউশন অনুযায়ী কাশ্মীরিদের অধিকার নিশ্চত হলে তা দুই প্রতিবেশী দেশেরই লাভদায়ক হবে।'
উরি ও পাঠানকোট হামলার জেরে বারত-পাক সম্পর্ক তলানীতে গিয়ে পৌছায়। ভারত জানিয়েছে সন্ত্রাসে পাকিস্তান মদত দেওয়া যতক্ষণ না বন্ধ করবে ততক্ষণ তাদের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। এরপরই ২০১৯ সালের অগাস্টে কাশ্মীরকে দু'টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ভাগ করে ৩৭০ দারা বিলোপ করে মোদী সরকার। যা নিয়ে সরব হয় ইসলামাবাদ। কিন্তু শহ চেষ্টাতেও পাকিস্তানের পক্ষে এই ইস্যুতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সমর্থন আদায় সম্ভব হয়নি।
কয়েক সপ্তাহ আগে অবশ্য, সীমান্তে যুদ্ধবিরতী চুক্তিতে সহমত পোষণ করেছে ভারত ও পাকিস্তান। যদিও দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতির চেষ্টা ভারতকেই উদ্যোগী হতে হবে বলে জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, '২০১৮ সালে সরকারে এসে আমার সরকার ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। কিন্তু উল্টো দিক থেকে সাড়া মেলেনি। তাই এবার সব চেষ্টা নয়াদিল্লিকেই করতে হবে।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন