Advertisment

নজরদার রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে ভারত, আশঙ্কা সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির

"গণতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী যা কিছু চোখে পড়ছে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত তৈরি করুন।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Shrikrishna, Pegasus

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শ্রীকৃষ্ণ

পেগাসাস নিয়ে শঙ্কিত তথ্য নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারপার্সন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বি এন শ্রীকৃষ্ণ। ভারতের অধিকার কর্মী এবং সাংবাদিকদের উপর নজরদারির যে অভিযোগ উঠেছে সে সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেছেন। "যদি খবর সত্যি হয় তাহলে জর্জ অরওয়েলের উপন্যাস ১৯৮৪-তে যেমন রাষ্ট্রের কথা বলা হয়েছিল, যেখানে বিগ ব্রাদারদের নজরদারি চলে, আমরা সে দিকে চলে যাচ্ছি।"

Advertisment

এ ধরনের বেআইনি নজরদারি আটকানো সুনিশ্চিত করতে কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, সে সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে বিচারপতি শ্রীকৃষ্ণ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, "গণতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী যা কিছু চোখে পড়ছে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত তৈরি করুন।"

২০১৭ সালের ৩১ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি শ্রীকৃষ্ণকে তথ্য সংরক্ষণ বিষয়ক কমিটির প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গোপনীয়তা নাগরিক অধিকার কিনা সে প্রশ্ন এখনও শীর্ষ আদালতের বিবেচ্য। বিশেষজ্ঞ এবং আধিকারিকদের কমিটি গোটা দেশ জুড়ে জন শুনানি চালিয়ে ২০১৮ সালের ২৮ জুলাই তাদের রিপোর্ট জমা দেয়। ওই রিপোর্টে তথ্য নিরাপত্তা আইনের খসড়াও দেওয়া হয়েছে। এ সম্পর্কিত বিল এখনও সংসদে অনুমোদনের জন্য পেশ করা হয়নি।

তথ্যের নিরাপত্তার সঙ্গে যেহেতু ভারতের নজরদারি সংস্কারের বিষয়টিও জড়িয়ে রয়েছে যার ফলে সরকার এবং অন্যান্য সংস্থা নাগরিকদের উপর নজরদারি করতে পারছে না। বিচারপতি শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, "সংবিধানের তৃতীয় ভাগে যে সব সাংবিধানিক বিধিনিযেধ দেওয়া রয়েছে এবং পুট্টাস্বামী রায়ে তার যে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, সেই অনুসারে সমস্ত নজরদারি চালাতে হবে।"

২০১৭ সালের অগাস্ট মাসে বিচারপতি পুট্টাস্বামী এবং আরেকজন বনাম ভারত সরকার মামলায় ৯ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে রায় দেয় যে গোপনীয়তা মৌলিক অধিকার।

বিচারপতি শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, "কোনও আইন কতটা শক্তিশালী তা নির্ভর করে আইন প্রয়োগকারী ব্যক্তিদের উপর। রাষ্ট্রের গলতি প্রকাশ করার উদ্দেশ্য রয়েছে এবং হুইসলব্লোয়ারদের নিরাপত্তা দেওয়া উচিত।"

Advertisment